আজকের শিরোনাম :

সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত, প্লাবিত কয়েকটি গ্রাম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২০, ১৬:২৭ | আপডেট : ২৪ মে ২০২০, ১৬:৩১

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ভারতীয় অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জের সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

হাওরের সবকটি সুইচ গেট পানি ঢোকার জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পÿ থেকে প্রশাসনকে সতর্কতামূলক চিঠি দেয়া হয়েছে।

আজ রবিবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি ঘোলঘর পয়েন্ট দিয়ে ৩৩ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর বিপদসীমা ৬.০৫ সে.মি অতিক্রম করে ০৬.৩৮সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পাহাড়ী ঢলে সীমান্তর্তী নদী যাদুকাটা ও চলতি নদীর, চেলানদী হয়ে সীমান্তের কয়েকটি গ্রামে ঢলের পানি ঢুকে প্লাবিত করেছে।

এদিকে শনিবার রাত ১২টার পর থেকে সদর উপজেলার বাদেরটেক এলকার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানি মানুষের বাড়ির দরজা পর্যন্ত উঠে গেছে।  

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপÿ জানিয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

গতকাল ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩২৭ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় থেকে নেমে আসা যাদুকাটা নদী ও চলতি নদী ও চেলানদী দিয়ে পানি বাংলাদেশে ঢল হয়ে প্রবেশ করছে।

এতে করে সুনামগঞ্জের সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েক সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাহাড়ী ঢলের তথ্য জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সহিবুর রহমান জানান, ভারতের মেঘালয় অংশের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। গতকাল ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩২৭সে.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন অংশের নদ-নদী দিয়ে  পানি ঢল আকারে প্রবেশ করছে। এতে করে সুরমা নদীসহ কয়েকটি নদ-নদীর পানি কয়েক সে.মি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি আরো বাড়বে।

এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/গালিব/জসিম

 

এই বিভাগের আরো সংবাদ