আজকের শিরোনাম :

চিতলমারীতে বেড়িবাধের পাশে ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০১৮, ১২:৫২

বাগেরহাট, ১৬ জুলাই, এবিনিউজ : বাগেরহাটের চিতলমারীতে  এক কোটিপতি নারী সুরশাইল মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের জায়গা থেকে বালু উত্তেলন করে চলছেন। আর তার এ অবৈধ কাজে যাতে কেউ বাঁধা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য তিনি এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে নিয়েছেন। ফলে দিনের পর দিন অবৈধভাবে লাখ লাখ ফুট বালু উত্তেলন করলেও ভয়ে কেউ টু শব্দটি করতে পারেনি।
এমন অভিযোগে গতকাল রোববার দুপুরে গ্রামবাসীদের পক্ষে সুরশাইল গ্রামের মোঃ কাসেম আলী শেখ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্রে জানাগেছে, উপজেলা সুরশাইল গ্রামে হঠাৎ করে কোটিপতি বনে যাওয়া মিতালী মন্ডল চার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। আর এ বিল্ডিং মেঝের বালুর যোগান দিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশে সুরশাইল মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের একটি জায়গা হতে লাখ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে। তার এ অবৈধ কাজকে সহজে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীকে জনপ্রতিনিধিকে হাতের মুঠোয় নিয়েছেন। কিন্তু ওই সকল প্রভাবশালীদের হুমকি ধামকিতে ধেমে থাকেনি গ্রামবাসী। 

এ ব্যাপারে সুরশাইল গ্রামের মোঃ কাসেম আলী  সেখ জানান, আজ থেকে চার পাঁচ বছর আগে ওই মিতালী খোর পোষের জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। আজ সে কোটি কোটি টাকার মালিক। এটা কিভাবে সম্ভব? তার এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে প্রথমে গ্রামবাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজে বাধা দিতে গেলে পুলিশ তাদের হয়রানি করে। কোন উপায় না পেয়ে গতকাল রোববার দুপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গ্রামবাসীর পক্ষে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ  করে দিলেও বালু উত্তোলন থেমে থাকেনি। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বৃদ্ধ কাসেম আলী সরকার সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে মিতালীর আয়ের উৎসকেও খতিয়ে দেখার দাবি জানান। 
মিতালী মন্ডল ওরফে মিতালী সিংহ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, বাগেরহাটের এক হাজীর ওই জমি কিনেছেন। তার ক্রয়কৃত জমি থেকেই তিনি বালু উত্তোলন করছেন। 
ড্রেজার মালিক মোস্তাফিজুর জানান, ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে তিনি ওই নির্মাণাধীন ভবনের বালু উত্তোলন করছেন।
এ ব্যাপরে চিতলমারী থানার এসআই স্বপন কুমার জানান, মিতালী অভিযোগের প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। এ ব্যপারে শালিস বৈঠকের কথা রয়েছে।
এ ব্যপারে চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন খান জানান, প্রতিবেশিদের ক্ষতি করে এভাবে বালি উত্তোলন করা ঠিক নয়। ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক। 
তবে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুসাঈদ মুঠোফোনে জানান, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের একটি লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সরকারি জমি প্রমানিত হয় তবে বালু কাটা বন্ধ করা হবে। 

এবিএন/এস এস সাগর/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ