আজকের শিরোনাম :

সোনাগাজীতে চাল বিতরণে অনিয়ম, ৩০ কেজির বস্তায় ২৫ কেজি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মে ২০২০, ১১:১৯

সোনাগাজীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা মূল্যের চাল ৩০ কেজির স্থলে ২৫ কেজি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালের ডিলার মো. সেন্টুর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। ফলে এলাকার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেন্টু সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সদস্য।

স্থানীয়দের অভিযোগ যুবলীগ নেতা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগীতায় সে দীর্ঘদিন ধরে হতদরিদ্রদের চাল কম দিয়ে সেগুলো আত্মসাৎ করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের ওলামিবাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রয় করা হয়।

এ কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও ওজনে কারচুপি করে ২৫,২৬,২৭ কেজি করে চাল দেয়ার অভিযোগে হতদরিদ্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এ সময় চাল বিতরণের স্থানে দায়িত্বে থাকা ট্যাগ কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন পাওয়া উপস্থিত ছিলেননা।

পরে অনিয়মের খবর পেয়ে ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল কমের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ৮ থেকে ১০ কার্ডধারীর চাল পরিমাপ করে ৫ থেকে ৩ কেজি করে চাল কম পান।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিদাভোগী আনোয়ারা খাতুন, ফিরোজা খাতুন, আবু ইউসুপ, মো. ছাদেক, লাইলি বেগম, বেলায়েত হোসেন, ছালেহা খাতুন অভিযোগ করে জানান, তারা যতবার চাল কিনেছেন প্রত্যেক বার ৩০ কেজির কথা বলে তাদের ২৫,২৬,২৭ কেজি করে দিয়েছেন। অথচ তাদের কাছ থেকে ৩০ কেজি চালের টাকা নেওয়া হয়েছে।

চালের ডিলার সেন্টু বলেন, খাদ্যগুদাম থেকে সেলাই করা ৩০ কেজি ওজনের বস্তা আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমি সেই বস্তা সুবিদাভোগীদের দিয়ে থাকি। ওজনে কম হয়ে থাকলে তারজন্য খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ দায়ী। কোন অনিয়মনের সাথে জড়িত নেই বলে জানান তিনি।

উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা ডিলার কে প্রত্যেকটি ৩০ কেজি ওজনের বস্তা পরিমাপ করে বুঝিয়ে দিয়েছি। সে প্রতি বস্তা ৩০ কেজি চাল বুঝে পেয়ে স্বাক্ষর করে নিয়ে গেছে। বিতরণের সময় ওজনে চাল কম হয়ে থাকলে পুরো দায় ডিলারের।

এ ব্যাপারে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব বলেন, চাল বিতরণে অনিয়মের কথা শুনেছি এবং তাৎক্ষণিক ট্যাগ কর্মকর্তা নুরুল আমিনকে সরেজমিন পাঠিয়েছি।

ট্যাগ কর্মকর্তা কয়েকটি বস্তার চাল পরিমাপ করে ওজনে কম পেয়েছে। উপকারভোগীদের ওজনে কম পরিমান চাল দেওয়ার সাথে ডিলার নাকি খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ দায়ী সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এবিএন/আবুল হোসেন/গালিব/জসিম

 

এই বিভাগের আরো সংবাদ