করোনা ঝুঁকি উপেক্ষা করে ফিরছে দক্ষিণাঞ্চলে ২১ জেলার মানুষ

করোনার ঝুঁকি নিয়ে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি নৌ-পথ পারি দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ ফিরতে শুরু করেছে ।

এতে করে শনিবার (১৬ মে) সকাল থেকে ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের  চাপ বেড়েছে। তবে গত দুইদিন আগেও রাজধানী ঢাকা মুখী যাত্রীদের চাপ ছিল বেশি।

ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর ঢাকা থেকে করোনার ঝুঁকি নিয়ে দক্ষিণ অঞ্চলের জেলার মানুষজন ফিরতে শুরু করেছে। এ কারণে শনিবার সকাল থেকে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যায়। এদিন বেলা ১১ টা পর্যন্ত প্রায় ছয় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে এ নৌপথে ১৪টি ফেরি চলাচল করলেও হিমশিম খেতে হয় ঘাট কর্তৃপক্ষকে।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল কবির বেলা তিনটার দিকে জানান, সকালে যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার করা হলেও বর্তমানে পণ্যবাহী ও জরুরি সেবার গাড়ি পার করা হচ্ছে। করোনা ঝুঁকি সামাল দিতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে জনসাধারণকে ঘাটে আসতে বাঁধা দিচ্ছে। এতে করে গতকাল থেকে আজকের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।

শিমুলিয়া ঘাটে ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (টিআই) মো. হিলাল বলেন, সকালে কিছুটা চাপ ছিল। দুপুরের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এখন পারাপারের অপেক্ষায় শতাধিক গাড়ি রয়েছে। শুধু পণ্যবাহী ও জরুরি সেবার গাড়িগুলো পার করা হচ্ছে।

শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ বলেন, সকালের দিকে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের পাশাপাশি গাড়ির বেশ চাপ ছিলো। বর্তমানে ১৪টি ফেরি এই নৌ-পথে চলছে। শুনেছি পুলিশ বিভিন্ন রাস্তায় পথরোধ করেছে, পরে গাড়ির চাপ অনেকটাই কমে আসে। পুলিশ প্রশাসন থেকে নির্দেশনা রয়েছে পুলিশ যেসব গাড়ি ছাড়বে কেবল সেসব গাড়ি পার করা হবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পারাপারের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি