লালমনিরহাটে ভুয়া এনএসআই কর্মকর্তাসহ ২ যুবক আটক

লালমনিরহাটে ভুয়া এনএসআই কর্মকর্তাসহ ২ যুবককে আটক করা হয়েছে।

ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপ-পরিচালকের কাছে এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক পরিচয়ে আরিফুল ইসলাম সুজন ও সাংবাদিক পরিচয়ে খাজা রাশেদ বাবু নামে দুই ব্যক্তি চাঁদা দাবি করলে তাদের হাতেনাতে আটক করে সদর থানা পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় এই ঘটনা ঘটে।

লালমনিরহাট থানা সূত্রে জানা গেছে, আটক সুজন লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের খাতাপাড়া এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে ও খাজা রাশেদ বাবু লালমনিরহাট পৌরসভার সাহেপাড়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে।  
      
ওই ডাকবাংলোয় লালমনিরহাট ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপ-পরিচালক (ডিডি) ড. ওমর ইবনে হাসান ভাড়া থাকেন। সেখানে এনএসআইয়ের ভুয়া সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম সুজন, স্থানীয় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার খাজা রাশেদ বাবুসহ কয়েকজন জন দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

ড. ওমর ইবনে হাসান বলেন, আমার কক্ষে এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে আরিফুল ইসলাম সুজন, সাংবাদিক পরিচয়ে খাজা রাশেদ বাবু চাঁদা দাবি করেন। আমি তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানাই। এর পরেই সদর থানার পুলিশ এসে সুজন ও রাশেদকে আটক করে নিয়ে যায়।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, আটক আরিফুল ইসলাম সুজনের নিকট থেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী পরিচালক পদবী লেখা একটি ভুয়া পরিচয়পত্র ও স্থানীয় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি পদবী লেখা একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া খাজা রাশেদ বাবুর নিকট থেকে স্থানীয় একটি অনলাইনের স্টাফ রিপোর্টার ও বিজ্ঞাপন ম্যানেজার লেখা একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

লালমনিরহাট এনএসআই’র উপ-পরিচালক আব্দুস ছাত্তার বলেন, পুলিশের হাতে আটক আরিফুল ইসলাম সুজন এনএসআইয়ের ভুয়া পরিচয়পত্র বহনকারী একজন। এই নামে আমাদের কেউ নেই।

বিষয়টি পুলিশকে নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভুয়া পরিচয়পত্র ইস্যু ও ব্যবহারের কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।   

এবিএন/আসাদুজ্জামান/গালিব/জসিম