আজকের শিরোনাম :

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে যাত্রীদের ঢল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২০, ১১:৪০

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল অব্যাহত রয়েছে। তবে এখন আর শুধু ঢাকামুখী নয়, দক্ষিণবঙ্গমুখী মানুষের চলাচলও শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ছোট ছোট যানবাহনের চলাচলও বৃদ্ধি পেয়েছে। উভয় ঘাটেই পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শতাধিক যানবাহন। তবে বাসসহ লঞ্চ ও সিবোট চলাচল যথারীতি বন্ধ রয়েছে।

আজ বুধবার সকালে দেখা যায়, স্বাভাবিকভাবেই চলছে ফেরি পারাপার। তবে যানবাহনের সাথে পার হচ্ছে প্রচুর মানুষ। ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গমুখী অসংখ্যা মানুষ ছুটছে গন্তব্যে।  তবে কিছুদিন পূর্বে যেমন ফেরিতে শত শত মানুষ গাদাগাদি করে পার হয়েছে এখন সেরকম পরিস্থিতি না থাকলেও মানুষজনের চলাচল কমেনি। কারণ পূর্বে ফেরির সংখ্যা কম থাকায় যাত্রীরা গাদাগাদি করে ফেরি পার হয়েছে। আর এখন ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় যাত্রীদের এখন আর গাদাগাদি করে পার না হতে হলেও ঘেঁষাঘেঁষি কমেনি। 

দক্ষিণবঙ্গ থেকে যাত্রীরা ফেরিতে করে শিমুলিয়া ঘাটে এসে হুমড়ি খেয়ে ছুটছে যানবাহন ধরতে। সেখানে বাস না পেয়ে তারা লেগুনা, অটোরিকশা, পিকআপভ্যান, মাইক্রোবাস ও অফ লাইনে চলা উবারের শত শত মোটরসাইকেল ও গাড়িসহ নানা ধরনের পরিবহনে গাদাগাদি করে তারা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটছে। এতে ভাড়া বেশি গুনতে হলেও করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে এসব যাত্রীসাধারণ চলাচল করছে।

এ ছাড়া সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি এখন উচ্চবিত্ত শ্রেণির লোকজনেরও চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে ছুটছে নিজ নিজ গন্তব্যে। কেউ ছুটছে ঢাকার উদ্দেশে আবার কেউবা দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশে। এতে উভয় ঘাটে দেখা দিয়েছে যানজট। পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে আছে।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, অসংখ্য যাত্রী চলাচল করছে। তবে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় যাত্রীরা এখন আর গাদাগাদি করে চলছে না। আগে শুধু ঢাকামুখী যাত্রীর ঢল থাকলেও এখন উভয়দিকেই যাত্রীরা ছুটছে। করোনার ভয় বলে কিছু তাদের মধ্যে লক্ষ করা যায়নি। শুধু যানবাহনের দিকে ছুটোছুটি করতে দেখা গেছে। কে কার আগে যানবাহনে উঠবে এ নিয়ে ব্যস্ততা ছিল তাদের মধ্যে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সবকটি ফেরিই এখন চলাচল করছে। দিনের বেলায় ছোট ছোট গাড়ির চাপ থাকায় ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। যানবাহনের সাথে প্রচুর যাত্রীও পার হচ্ছে উভয় দিকে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ