আইসোলেশনে নারীর মৃত্যু, দাফনে স্থানীয়দের বাধা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২০, ০০:১১

চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ফাতেমা (৪০) নামের এক নারী মারা গেছেন।

শুক্রবার (০১ মে ) রাত সাড়ে ৯টায় মারা যান তিনি। পরে রাতে হাজীগঞ্জে শ্বশুরবাড়ির কবরস্থানে দাফন করতে গেলে গ্রামবাসীর বাধা দেয়। মারা যাওয়া নারী শহরের বিষ্ণুদী মাদ্রাসা রোডে মুন্সিবাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার বাড়ি হাজীগঞ্জের পূর্ব রাজারগাঁও।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, শুক্রবার রাত ৮টায় ওই নারী জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন। পরে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ওই নারীর স্বজন ও পুলিশ জানায়, গতকাল রাত ১২টার দিকে ওই নারীর লাশ হাজীগঞ্জ উপজেলায় তার শ্বশুরবাড়ির কবরস্থানে দাফন করার জন্য নেওয়া হয়। তখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ গ্রামবাসী বাধা দেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে যান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ ও কচুয়া সার্কেল) আফজাল হোসেন। তিনি নিজেই কবর খুঁড়েন এবং লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।

এএসপি আফজাল হোসেন বলেন, এলাকাবাসী লাশ দাফনে বাধা দিচ্ছে শুনে আমি নিজে রাত একটায় সেখানে যাই। সবাইকে বুঝিয়ে লাশটি দাফন করি।

অভিযোগ আছে, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রামের লোকজনকে নিয়ে লাশ দাফনে বাধা দেন। তবে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনো বাধা দেইনি। গ্রামবাসী আমাকে জানিয়েছে, গ্রামটি ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে দাফন করলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক আছে।

চাঁদপুর জেলার সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ