আজকের শিরোনাম :

নন্দীগ্রামে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে কৃষকরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২০, ১৬:৪০

বগুড়ার নন্দীগ্রামে বোরো মৌসুমের পাকাধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। প্রতিবছর এ মৌসুমে আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার শ্রমিক এই উপজেলায় ধান কাটতে আসে। এবার করোনা আতঙ্কের কারণে শ্রমিক এখনো আসেনি। এ অবস্থায় কৃষকরা স্থানীয় শ্রমিক দিয়েই উচ্চমূল্যে ধান কাটা শুরু করেছেন।

ইতোমধ্যেই শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একদিকে করনোভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট। অন্যদিকে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির দুশ্চিন্তা নিয়ে বিপাকে কৃষকরা।

এদিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনকে কৃষকদের ধান কাটার ব্যাপারে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে উপজেলার কোন কোন স্থানে ধান কাটা হচ্ছে।

জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নে ২০ হাজার ১৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষকরা হয়েছে। ধানের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছে এ উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক বলাই কুমার জানান, মাঠের ধান পেকে গেলেও শ্রমিক সংকটের কারণে তা কাটতে পারছি না। মাঠে এভাবে বেশি দিন থাকলে ধান ঝরে যাবে। এছাড়া স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে ৪-৫হাজার টাকা দামে ধান কেটে নিলে আমাদের কিছুই থাকবে না।

উপজেলার বার্মন গ্রামের কৃষক তীর্থ সলিল রুদ্র বলেন, এলাকার মানুষের মজুরি বেশি তাই ধানের উৎপাদন খরচের পাল্লা ভারি হবে। এলাকায় শ্রমিক না পেলে এসব ধান শিলাবৃষ্টি আর ঝড়ে জমিতেই নষ্ট হতে পারে। আবার যদি ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া যায় তাহলে লোকসান হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আদনান বাবু জানান, ধান কাটার জন্য (কম্বাইন হারভেস্টার) যন্ত্র কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। এতে করে কিছু শ্রমিক সংকট কমবে। তবে শ্রমিক সংকট নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া ধান কাটার ক্ষেত্রে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এবিএন/অদ্বৈত কুমার আকাশ/গালিব/জসিম

 

 

এই বিভাগের আরো সংবাদ