বেড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীবাণুনাশক ছিটানো গেইট স্থাপন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২০, ১৩:১৫
করোনা জীবাণুনাশক ফগ গেট স্থাপন করে পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সম্পূর্ণ স্থানীয়ভাবে গেটটি তৈরী করেছেন সেখানকার উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার।
এই গেটে প্রবেশ করার সাথে সাথে স্বযংক্রিয়ভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে হয়। ফলে হাসপাতালে প্রবেশকারীর শরীর জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার জীবাণুনাশক ছিটানো গেটটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে স্থাপন করা হয়।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে-এর উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল হালিম সার্বিক পরিকল্পনায় জীবাণুনাশক গেটটি তৈরী করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাস মুক্ত করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে র্টানেল বা গেট স্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে পথচারি বা ছোট যান বাহন যাওয়ার সময় জীবাণুনাশক ছড়ানো কুয়াশার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এতে পথচারী বা ছোট যানবাহন জীবাণু মুক্ত হয়ে যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় কিভাবে হাসপাতালে প্রবেশ কারীদের জীবাণুমুক্ত করা যায় এবং জীবানু মুক্ত পরিবেশে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় সেই ভাবনা থেকেই এ ধরনের গেট স্থাপন।
এই জীবাণুনাশক গেট তৈরী করতে একটি পানি রাখার ড্রাম, কিছু পাইপ, স্প্রিং ও আনুষাঙ্গিক কিছু যন্ত্রপাতির সাহায্যে স্থানীয়ভাবে তৈরী করা হয়।
যদিও এ গেটটিতে জীবাণুনাশকের কুয়াশা তৈরী হয়না তবে গেট দিয়ে প্রবেশ কালে জীবাণুনাশক স্প্রে বা ছিটানোর কাজটি হয়ে থাকে। যার ফলে সার্বক্ষণিকভাবে জীবাণুনাশক ছিটানোর জন্য এক জন লোক বা শ্রমিকের প্রয়োজন হয়না।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা জীবাণুনাশক গেট থাকায় আতংক মুক্ত ও নিরাপদ মনে করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা বনগ্রাম উত্তর মহল্লার নজীর হোসেন, মৈত্রবাঁধা এলাকার শমশের আলী, হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের মাল্দাহ পাড়া গ্রামের সুষমা রানী পাল ও একই ইউনিয়নের মনিজা খাতুন কে হাসপাতালের গেট দিয়ে প্রবেশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন,সব ধরনের রোগীই চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসে, তাই এ সময় সহজে হাসপাতালে আসি না। কিন্ত আজকে এসে গেটের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় জীবাণুনাশকের মধ্য দিয়ে জীবাণু মুক্ত হয়ে হাসপাতালে ঢোকা ও বের হওয়ায় আর আতংক নিয়ে বাড়ী যেতে হচ্ছেনা।
গেট দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মনিজা খাতুন বলেন, গেট দিয়ে যাওয়ার সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত সারা গায়ে পানি এসে পড়লো। কেউ নাই পানি কে দিল বুঝতে পারলাম না। পরে একজনের কাছে জানতে পারলাম মেশিনের সাহায্যে করোনা জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে। হাসপাতালে আসার সময় অনেকেই বলছিল এসময় হাসপাতালে যাওয়া নিরাপদ নয়। জীবাণুনাশক সারা গায়ে ছিটিয়ে দেওয়ায় কোন রকম ভয় আর থাকলো না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিলন মহমুদ বলেন, করোনা ভাইরাস আতংকে মানুষ আতংকিত, সাধারণ রোগীরাও করোনা আতংকে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসতে ভয় পায়।
করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এই সংকটকালে জীবাণুনাশক ছিটানো গেট বসানোর মধ্য দিয়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।
এবিএন/নির্মল সরকার/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ