হোমনায় ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, আহত ২০
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২০, ১২:০৮ | আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২০, ১২:১২
কুমিল্লার হোমনায ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় গ্রামের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে করোনা আতংঙ্কে হাসপাতালে না নিয়ে গ্রাম্য ডাক্তার দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের মিরাশ ও ইটাভরা গ্রামবাসীর মধ্যে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইটাভরার একদল কিশোর প্রতিদিন মিরাশ গ্রামের কবরস্থান সড়কের খালের ওপর ব্রিজে বসে আড্ডা দেয়।
এ সময় মিরাশ গ্রামের নারীরা খালে পানি আনতে গেলে তাদেরকে ইভটিজিং করে এবং খারাপ ভাষায় কথা বলে। ইভটিজিং শিকার নারীরা বিষয়টি মিরাশ গ্রামের মনির হোসেনকে জানালে মনিরসহ কয়েকজন ব্রিজে গিয়ে ইটাভারার ওই কিশোরদেরকে ব্রিজে বসে আড্ডা দিতে না করে এবং তাদের বাড়িতে চলে যেতে বলে।
এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং মিরাশ গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং উভয়ের ইট পাটকেল নিক্ষেপে দুই গ্রামের অন্তত ২০ জন আহত হয়।
মিরাশ গ্রামের মিনর হোসেন বলেন ইটাভরার ১০/১২ জন কিশোর প্রতিদিন আমাদে গ্রাামের ব্রিজে এসে আড্ডা দেয় মঙ্গলবার বিকালে গ্রামের কয়েকজন নারী খালে পানি আনতে গেলে তারা খারপ ভাষায় কথা বলে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি তাদেরকে এখানে না আসতে বলি।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পর দিন মানে বুধবার পরিকল্পিতভাবে পুনরায় ব্রিজে আসে এ সময় আমিসহ আরো কয়েকজন গিয়ে বাধা দিলে তারা ভুট্টাক্ষেত থেকে লাটি সোটা নিয়ে আমাদের গ্রামে প্রবেশ করে এলোপাতারী পিঠাতে থাকে, এ সময় গ্রামের মসজিদের মাইকে বা কারা মাইকিং করে মিরাশ গ্রামে ইটাভরার রোকজন এসে হামলা করছে। মাইকিং শুনে ইটাভরা গ্রামের শত শত লোক লাঠি সোটা নিয়ে চলে আসে।
ইটাভরার আক্তার হোসেন বলেন, মাইকিং শুনে রফিক সরকারসহ আমরা ইটভরার লোকজনকে ফিরিয়ে আনতে গেছি আমরা কোন ঝগড়া করতে যাইনি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ইটাভরার কিছু পোলাপান মিরাশের ব্রিজে গিয়ে আড্ডা দেয় এবং মিরাশ গ্রামের মেয়েদের খারাপ ভাষায় কথা বলে এ নিয়ে দুই গ্রামের উঠতি বয়সের ছেলেদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে শুনেছি তবে দুই গ্রামের লোকজন নিয়ে মীমাংসা করার পক্রিয়া চলছে।
হোমনা থানা ওসি তদন্ত আমিনুল রসুল বলেন, ইটাভরার কিছু ছেলে মিরাশ গ্রামের ব্রিজে গিয়ে আড্ডা দেয় এবং ওই গ্রামের মেয়েদেরকে ইভটিজিং করে এনিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং দুই গ্রামবাসীকে শান্ত থাকতে বলে দিয়েছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এবিএন/কবির হোসেন/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ