আজকের শিরোনাম :

স্বেচ্ছা লকডাউনে' টাঙ্গাইলের বেশ ক'টি এলাকা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২০, ২০:১৯

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও বাড়েই চলেছে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। ইতিমধ্যে সরকার বেশ কয়েকটি বিভাগীয় শহর লকডাউন করে রাখলেও, গ্রামের মানুষ এখনো সেভাবে সচেতন না।  

তবে কিছু কিছু জেলায় যে মানুষগুলি অল্প ক'দিন আগেও করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতাকে গুরুত্ব না দিয়ে উপেক্ষা করেছেন তাদের অনেকের মাঝেও দেখা গেছে আতঙ্কের ছাপ। আবার অনেকেই এখনো বেপরোয়া। তাদের রুখতেই টাঙ্গাইলের গোপালপুর, ঘাটাইল ও মির্জাপুরের বেশ কয়েকটি গ্রাম নিজেরাই স্বেচ্ছায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তবে লকডাউন যাওয়া এলাকায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নেই কারো, নেই কোনো জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের বিশেষ কোনো রোগী। তবুও করোনা সতর্কতায় স্বেচ্ছায় পুরো গ্রামকে লকডাউন করেছেন করেছেন তারা। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি ছাড়া বহিরাগতদের এলাকায় অপ্রয়োজনে প্রবেশ না করার অনুরোধ করা হয়েছে।

গোপালপুরের মির্জাপুর ইউনিয়নের মোহনপুর, কামাখ্যা বাড়ি, মাঝপাড়া, ধুলটিয়া  ও নবধুলটিয়া গ্রামের মানুষজন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বেচ্ছায় ওই ৫টি গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করে গ্রামে যাতায়াত বন্ধ করতে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে দিয়েছে। এছাড়া যুবকরা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে সেখানে নোটিস টাঙিয়ে দিয়েছেন। তাতে লেখা আছে ‘প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি ছাড়া বহিরাগতদের গ্রামে প্রবেশ নিষেধ।’

অন্যদিকে ঘাটাইল উপজেলার পৌর এলাকার কাজিপাড়া, জামুরিয়া ইউনিয়নের সাধূর গলগন্ডা ও কর্না গ্রামের প্রবেশ মুখে ঘাটাইল-ভূঞাপুর সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে এবং টায়ারে আগুন ধরিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না এবং গ্রামবাসী জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গ্রামের বাইরে বের হচ্ছেন না। একই কারণে গুনগ্রামের প্রবেশ মুখ বাঁশ দিয়ে বেঁড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে গ্রামের যুবকরা।

এছাড়াও জেলার মির্জাপুরের ঘনবসতি এলাকার সাহাপাড়াতেও স্থানীয় যুবসমাজ গ্রামের প্রবেশ মুখে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বহিরাগতদের প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ