আজকের শিরোনাম :

সিরাজগঞ্জে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০১৮, ১৯:৪৭

সিরাজগঞ্জ, ০৯ জুলাই, এবিনিউজ : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে প্রাইমারী এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (পিইডিপি-৩) স্লিপ পরিকল্পনা ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উক্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আওতাধীন প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে সরকার প্রতি অর্থ বছরে স্লিপ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজের জন্য ৪০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

বরাদ্দকৃত সেই অর্থ দিয়ে স্লিপ কমিটি কর্তৃক গৃহিত বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ করার কথা থাকলেও স্লিপ কমিটির সেই দায়িত্ব খর্ব করে পাঁচিলা ক্লাস্টার ও উধুনিয়া ক্লাস্টারের দায়িত্বে নিয়োজিত উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ আলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম জি মাহমুদ ইজদানীর সাথে যোগসাজসে ওই ক্লাস্টারের আওতাধীন স্কুলগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের কথা বলে প্রধান শিক্ষকদের নিকট থেকে নগদ ২০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হাতিয়ে নেওয়া অর্থ দিয়ে পাঁচিলা ক্লাস্টারের ২৪টি স্কুলের মধ্যে কয়েকটি স্কুলে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করে শহীদ নির্মাণ করা হলেও এখনও বেশ কয়েকটি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি।

এ নির্মাণ কাজে তারা অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফ আলী দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এখানে কর্মরত থাকায় তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনাও রয়েছে। এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের স্লিপ কমিটির সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাঁচিলা ও উধুনিয়া ক্লাস্টারের আওতাধীন একাধিক প্রধান শিক্ষক জানান, স্লিপ কমিটির মাধ্যমে বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের আনুসাঙ্গিক কাজ করতে হয়। কিন্তু নিয়ম বর্হিভূতভাবে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফ আলী স্লিপ কমিটিকে কাজ করার সুযোগ না দিয়ে তিনি শহীদ মিনার নির্মাণের কথা বলে তাদের নিকট থেকে জোরপূর্বকভাবে ২০ হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে। এতে শিক্ষকেরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বদলীর হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করেন। এতে ক্লাস্টারের আওতাধীন প্রধান শিক্ষকগণ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার এম জি মাহমুদ ইজদানীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

তবে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও ক্লাস্টারের দায়িত্ব নিয়োজিত কর্মকর্তা আশরাফ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঠিকাদারের মাধ্যমে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এবিএন/তফিজ উদ্দিন/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ