আজকের শিরোনাম :

করোনা সন্দেহে মৃত্যু, পোড়ানো হলো পিপিই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২০, ১৯:০৪

মৃত ব্যক্তির বয়স ৫৫ বছর। তিনি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। পেশায় রিকশাচালক। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে।

তার ছেলে জানান, তার বাবার আগে থেকে শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমার সমস্যা ছিল। গত রবিবার রাতে তার বাবার শরীরটা বেশি খারাপ হলে তারা নবাবগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বাবাকে ভর্তি নিতে চায়নি। পরে চিকিৎসকেরা তার বাবাকে দেখে উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

তিনি আরও জানান, সোমবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার বাবাকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত একটার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি জানান, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে তাঁর বাবার কফ, রক্তের নমুনা নিয়েছে। পাশাপাশি তিনিও আক্রান্ত কি না, সেটি জানতে তাঁরও কফ, রক্তের নমুনা নিয়েছে। তাকে আলাদা থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের মৃত্যুর প্রমাণপত্রে বলা হয়েছে, মৃত ব্যক্তি নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। এই উপসর্গের কারণে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় তিনি মারা যান।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হয়। গত রবিবার (২৯ মার্চ) তালতলা কবরস্থানে আরও এক ব্যক্তির মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে। তার মধ্যে করোনার লক্ষণ ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানের স্টাফ মো. ফেরদৌস। তিনি বলেন, দাফনের সময় মৃত ব্যক্তির সন্তান উপস্থিত ছিলেন। দাফনকাজে কবরস্থানের চারজন গোরখোদক অংশ নেন।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, কবরস্থানে দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে দুটি অ্যাম্বুলেন্স। একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামেন ছয়জন। তারা প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পরা ছিলেন। কবরস্থানের চারজন স্টাফ দাফনে অংশ নেন। তারা প্রত্যেকেই পিপিই পরা ছিল।

কবরস্থানের ঝিলপাড়ের শেষ প্রান্তে আগে থেকে একটি কবর খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। সেটির সামনে এসে অ্যাম্বুলেন্সগুলো থামে। দাফনকারীরা প্রথমে একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশ নামান। পরে কাঠের বাক্সে রাখা মৃতদেহটি কবরে নামান। দাফন শেষ হলে অ্যাম্বুলেন্স দুটি, স্ট্রেচার ও দাফনকারীদের জীবাণুনাশক দিয়ে স্যানিটাইজ করা হয়। এরপর দাফনকারীরা পিপিই খুলে তাতে আগুন ধরিয়ে নষ্ট করে ফেলেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ