আজকের শিরোনাম :

করোনার আতঙ্ক নেই তাদের, আছে ক্ষুধার যন্ত্রণা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২০, ০০:১৫

করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে দেশে ১০ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রায় সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবাই বাসা-বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে। কিন্তু যাদের ঘরই নেই, তারা কীভাবে ঘরে থাকবে।

শনিবার (২৮ মার্চ) রাজধানী বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ছিন্নমূল মানুষের সঙ্গে কথা বললে, তারা তাদের কষ্টের কথা জানায়।

কবির দুই মেয়ে এক ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ভেতরে বসবাস করতো। বর্তমানে স্টেডিয়াম বন্ধ করে দেওয়ার কারণে তারা রমনা মার্কেটের নিচে অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু এখানেও তারা থাকতে পারছেন না পুলিশের ভয়ে।

তিনি বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। পুলিশ খালি আমাদের ধাওয়া দিচ্ছে। আমরা কোথায় যাবো, আমাদের তো কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

একই স্থানে কথা হয় শাকিলের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে সারাদিন কাগজ, প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে বিক্রি করতাম, যা পাইতাম তা দিয়ে ডাল ভাত খাইতাম। রাতে স্টেডিয়াম বা মার্কেটের সামনে ঘুমাইতাম। কিন্তু এখন আমার থাকারও জায়গা নেই, খাবারের ব্যবস্থা নাই।  কোনো জায়গায় বসেও থাকতে পারি না পুলিশে পিটায়।

রমনা পার্কে থাকা মিজান নাম একজন বলেন, এক করোনা আমাগো শান্তি হারাম কইরা দিছে। না পারি খাইতে, না পারি ঘুমাইতে। মানুষতো ভয়ে বাড়ি থেকে বাইর হয় না। কিন্তু আমরা কই যামু। মরি আর বাঁচি আমাগো এই রাস্তাতেই থাকতে হইবো।   

কমলাপুর রেলস্টেশন, কারওয়ান বাজার, রমনা পার্কসহ আরও কিছু এলাকার ছিন্নমূল মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের বর্তমান অবস্থায় একদিকে যেমন রাতে থাকার সমস্যা, আরেকদিকে রোজগার না থাকায় খাবারের সমস্যাও দেখা দিয়েছে তাদের। আর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতো রয়েছেই।

ছিন্নমূলের মানুষের  সরকারের কাছে দাবি যদি তাদের জন্য কোনো থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হতো অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাহায্য সহযোগিতা করতো তাহলে তারা এই কষ্ট থেকে বেঁচে যেতো।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ