সখিপুরে গৃহবধূর লাশ ৩দিন পরে ময়নাতদন্তে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২০, ২০:১৬
টাঙ্গাইলের সখিপুরের গৃহবধূ আলেয়ার লাশ সুরতহাল ভুলের কারনে তিনদিন পর ময়না তদন্ত করেছে ডাক্তার। গত বৃহপতিবার সকালে যৌতুকের বলি এই গৃহবধূ আলেয়া বেগম (১৯)কে হত্যা করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানোর চেষ্টা করছে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন।
আজ শনিবার টাঙ্গাইল হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান নিহত গৃহবধূ আলেয়ার বাবা আলম মিয়া। এ ঘটনার তদন্তকারী সখিপুর থানার এসআই ফয়সাল ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেয়ার সুরতহাল রির্পোট গরিমসি করায় ডাক্তার সুরতহাল করতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে শনিবার বিকালে আলেয়ার লাশ ময়না তদন্ত শেষে মেয়ের পিতার বাড়িতে সন্ধ্যায় তার লাশ দাফন করা হয়।
নিহত গৃহবধু আলেয়া বেগমের পিতা আলম মিয়া জানান, সখিপুর উপজেলা বেড়বাড়ি খন্দকার পাড়া গ্রামের সোহেল মিয়ার ছেলে জনি মিয়া (২২) সাথে ৬ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ দেয়া হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণলংকার যৌতুক হিসাবে দেয়া হয়। বিয়ের ৩ মাস পর থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য আলেয়া বেগমকে আরও ৫ লাখ টাকা নিয়ে আসতে বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে। ঘটনার পর থেকে আলেয়ার স্বামী জনি, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও দেবর পলাতক রয়েছে।
গত বৃহপতিবার (১২ মার্চ) সকালে আলেয়া বেগমের স্বামী ও তার শ্বশুর, শাশুড়ী দেবরসহ অন্যান্যরা নির্যাতন করে আমার মেয়েকে হত্যা করে তারা আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। নিহতের পিতার দাবি, মেয়ের শ্বশুরবাড়ীর লোকজন ফোন করে বলেন যে, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর তিনি আলেয়ার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে বাড়ির উঠানে তার মেয়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর লাশের কাছে গিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষত চিহ্ন দেখতে পান। পরে বিষয়টি সখিপুর থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
মেয়ের বাবা আলম মিয়া আরো জানান, আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ীর লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ মামলা না নিয়ে হত্যাকে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বানিয়ে অপমৃত্যু মামলা নিয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সজিব জানান, প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন ও লাশের প্রকৃত অবস্থার সাথে মিল না থাকায় অর্থাৎ ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কোন প্রকার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আমার কাছে সন্দেহজক মনে হওয়ায় বৃহপতিবার ও শুক্রবার পোস্টমর্টেম করিনি।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ওসি আমির হোসেন জানান, এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিএন/তারেক আহমেদ/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ