আজকের শিরোনাম :

রাজারহাটে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০১৮, ১৮:২৭

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম), ০৭ জুলাই, এবিনিউজ : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। গত ২৪ ঘন্টায় চরাঞ্চলের প্রায় ২হাজারেরও বেশী পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। এসব পানিবন্ধী পরিবার বর্তমানে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম আতংকে রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পাউবোর এসও আবুল কালাম আজাদ জানান, তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২৮.৩৫ সে.মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল ২০ সি.মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিস্তা পাড়ের মানুষজন দাবী করেছে।  

গত বছর ধরলা নদীর কালুয়ার চর এলাকায় আকর্ষিকভাবে নদীর বাঁধ ভেঙে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হয়ে উপজেলার কয়েক হাজার পরিবারের বাড়ী-ঘর পানির নীচে তলিয়ে যায়। অনেকে স্বজনদের হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বানভাসী পরিবারগুলো। তাই এবারো বন্যার পূর্বাভাস পাওয়ায় ওইসব বানভাসী মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তার নদীর চর বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চর তৈয়বখাঁ, চর হায়বতখাঁ, চর পাড়মৌলা, চর চতুরা, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাবখাঁ, চর বুড়িরহাট, চর সরিষাবাড়ী ও ধরলা নদীর ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়ার চরসহ প্রায় ২৫/৩০টি চরাঞ্চলে পানি উঠে পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো।

পানি বন্ধী পরিবারগুলো গবাদী পশু গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। অনেকে গবাদী পশু নিয়ে উঁচু জায়গায় অবস্থান করার জন্য নৌকা নিয়ে এপারে- ওপারে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্যায় বড় ধরণের দূর্ঘটনার কোন খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার ও ছিনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলু জানান, বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিতে পারে। তাই আমারা সহযোগীতা করছি। রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহঃ রাশেদুল হক প্রধান বলেন, বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিকভাবে তালিকা প্রনয়নের পর ত্রান সহযোগীতার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সর্বশেষ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কালুয়ার চর বাঁধটির ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রায় ২ শতাধিক এলাকাবাসী দিনভর বালুর বস্তা ফেলছে বলে জানা গেছে। বর্তমান নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলোর ভাঙ্গন আতংকে নির্ঘূম রাত কাটছে।

এবিএন/রনজিৎ কুমার রায়/জসিম/রাজ্জাক

এই বিভাগের আরো সংবাদ