বদলগাছীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটে পাঠদান থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২০, ১৩:৪৭
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানা গেছে, সংকটের মধ্যে দিয়েই ১২’শ ৫৭ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। ফলে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা বলে।
উপজেলার ইন্দ্রসগুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১’শ ৩ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন শিক্ষক, লালুকাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৯ জন শিক্ষার্থী সেখানে ২ জন শিক্ষক, লক্ষীকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৫ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন শিক্ষক, উত্তর সাদিসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৫ জন শিক্ষার্থী সেখানে ২ জন শিক্ষক, ভয়ালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১’শ জন শিক্ষার্থী রয়েছে ৩ জন শিক্ষক, পারোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৭ জন শিক্ষার্থী সেখানে ২ জন শিক্ষক, তাজপুর পাচঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৮ জন শিক্ষার্থী সেখানে ২ জন শিক্ষক, গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২’শ ৮ জন শিক্ষার্থী সেখানে ৪ জন শিক্ষক, পূর্ব বণগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬৮ জন শিক্ষার্থী সেখানে ২ জন শিক্ষক, কয়াভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৫ জন শিক্ষার্থী সেখানে ৪ জন শিক্ষক, জগদীশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১’শ ৫ জন শিক্ষার্থী সেখানে ৩ জন শিক্ষক, সাগরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১’শ ২৬ জন শিক্ষার্থী সেখানে ৩ জন শিক্ষক ও পশ্চিম খাদাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৮ জন শিক্ষার্থী সেখানে ৩ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থপনা।
অথচ উক্ত ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতঃপূর্বে ৭৩ জন শিক্ষক ছিল। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া থেকে দীর্ঘদিন হতে বঞ্চিত হয়ে আসছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে খাদাইল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোজামেল রহমানসহ কয়েকজন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক না থাকলে বাচ্চাদের শিক্ষার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান উপরোক্ত ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহতি করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি জানান, এ উপজেলায় প্রধান শিক্ষক সংকট ২২ জন, সহকারী শিক্ষক সংকট ৪৫ জন, এর মধে ৮০ জন সহকারী শিক্ষক পিটিআই করার জন্য নওগাঁ আছেন ফলে মিক্ষকা ব্যবস্থাপনার বিঘœ ঘটছে।
নতুন শিক্ষক নিয়োগ হলে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হলেও উপরোল্লিখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমধান হবে।
এবিএন/হাফিজার রহমান/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ