টাঙ্গাইলকে সাংস্কৃতিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২০, ২০:০৯
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, টাঙ্গাইলে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা সর্বাধিক। টাঙ্গাইল থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নগরী হিসেবে টাঙ্গাইলকে বিশেষভাবে লালন ধারণ করেন এবং এ বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন।
সাংস্কৃতিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলে একটি সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে। টাঙ্গাইলের শিল্প-সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু মাওলানা ভাসানী মিলনায়তন জরাজীর্ণ হওয়ায় এটিকে ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাবের মঞ্চ ও মিলনায়তন-সহ ক্লাবটির সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণ করা হবে। এছাড়া পৌরউদ্যান ও শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তমঞ্চ স্থাপন করা হবে। মোদ্দাকথা, সাংস্কৃতিক নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে যা যা করণীয় তার সবই করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ টাঙ্গাইল পৌরউদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারের আয়োজনে বাংলাদেশ ও ভারতের কবিদের অংশগ্রহণে তিন দিনব্যাপী (৩-৫ মার্চ) ‘৫ম বাংলা কবিতা উৎসব ২০২০’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারের সভাপতি মোঃ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুর রহমান খান ফারুক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, ভারতের কবি অমৃত মাইতি, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সহ-সভাপতি খান মাহবুব প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি। স্বাগত বক্তৃতা করেন মাহমুদ কামাল।
এবিএন/জসিম/তোহা
এবিএন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ