বাউফলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:০০
পটুয়াখালীর বাউফলে ধর্ষণের মামলা করে বিপাকে পরেছেন ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা এক প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৬)। আসামী পক্ষ মামলা তুলে নিতে ওই কিশোরীর পরিবারকে হুমকি দেয়ায় তারা বর্তমানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ওই কিশোরীর মা অভিযোগ করেছেন, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে আমার স্বামী কয়েক মাস আগে মারা গেছেন। দুই ছেলে চাকরি করে, বাড়িতে থাকে না। তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে বিবাহিত, শশুর বাড়ি থাকে। মেঝ মেয়ে ঢাকায় পড়াশোনা করে। ছোট মেয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বোবা (কথা বলতে পারে না) তাকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন।
এ কারণে তাঁকে (মা) বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে মেয়েকে ঘরে একা রেখেই বাহিরে যেতে হয়। সেই সুযোগে একই এলাকার আবদুল মালেক হাওলাদার (৫৫) ও জয়নাল হাওলাদার (৫৭) নামে তাঁর এক আত্মীয় ঘরে ঢুকে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে ।
বিষয়টি তাঁর মেয়ে হাউমাউ করে তাঁকে জানালেও তিনি প্রথমে বুঝতে পারেননি। পরে একদিন তিনি (কিশোরীর মা) আবদুল মালেককে ঘর হতে বের হতে দেখেন এবং তাঁর মেয়েকে কাঁদতে দেখেন। তখন তাঁর মেয়ে ইশারায় বুঝিয়ে বলেন আবদুল মালেক ও জয়নাল বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছে। একপর্যায়ে কিশোরী বমি করতে শুরু করে এবং তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। চিকিৎসক জানান তাঁর মেয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা। নিরুপায় হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে যান। কোনো বিচার না পেয়ে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি বাউফল থানায় দুই ব্যক্তির নামে মামলা করেন। ওই কিশোরীর মা আরও বলেন,‘মামলা করে এখন বিপাকে পড়েছেন। পুলিশ আসামি ধরছে না। আর আসামি ও তাঁদের স্বজনেরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। এ কারণে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’
এব্যাপারে ওসি তদন্ত আল মামুন বলেন, আসামীরা পলাতক। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তোহা
এ কারণে তাঁকে (মা) বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে মেয়েকে ঘরে একা রেখেই বাহিরে যেতে হয়। সেই সুযোগে একই এলাকার আবদুল মালেক হাওলাদার (৫৫) ও জয়নাল হাওলাদার (৫৭) নামে তাঁর এক আত্মীয় ঘরে ঢুকে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে ।
বিষয়টি তাঁর মেয়ে হাউমাউ করে তাঁকে জানালেও তিনি প্রথমে বুঝতে পারেননি। পরে একদিন তিনি (কিশোরীর মা) আবদুল মালেককে ঘর হতে বের হতে দেখেন এবং তাঁর মেয়েকে কাঁদতে দেখেন। তখন তাঁর মেয়ে ইশারায় বুঝিয়ে বলেন আবদুল মালেক ও জয়নাল বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেছে। একপর্যায়ে কিশোরী বমি করতে শুরু করে এবং তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। চিকিৎসক জানান তাঁর মেয়ে অন্তঃস্বত্ত্বা। নিরুপায় হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে যান। কোনো বিচার না পেয়ে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি বাউফল থানায় দুই ব্যক্তির নামে মামলা করেন। ওই কিশোরীর মা আরও বলেন,‘মামলা করে এখন বিপাকে পড়েছেন। পুলিশ আসামি ধরছে না। আর আসামি ও তাঁদের স্বজনেরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। এ কারণে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’
এবিএন/দেলোয়ার হোসেন/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ