আজকের শিরোনাম :

চকরিয়ায় দূর্বৃত্তের পিটুনিতে নিহত ১ : আহত ২

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৩৫

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দূর্বৃত্তের পিটুনিতে এক কৃষক নিহত ও দুই কৃষক আহত হয়েছেন। সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আজ সোমবার ভোররাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কৃষক মো. শাহাবউদ্দিন (২৬) কাকারা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাকারার মো. শাহ আলমের ছেলে। আহতরা হলেন একই এলাকার বেলাল উদ্দিনের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন (৩২) ও খলিলুর রহমানের ছেলে আবদুল মান্নান (৫০)। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত দুইজনের মধ্যে মিনহাজকে প্রাইভেট হাসপাতাল জমজমে ও আবদুল মান্নানকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

কাকারার বাসিন্দা নিহত শাহাবউদ্দিনের ছোট ভাই রোকন উদ্দিন বলেন, আমার বড় ভাই অপর দুইজনকে সাথে নিয়ে রাতে নিকটস্থ সুরাজপুর এলাকায় নিজেদের চাষ করা জমির ধান ক্ষেতে সেচ দেয়া ও হাতির আক্রমন থেকে বাঁচাতে পাহারা দিতে প্রতি রাতের মতো যায়। রাত ১২টার দিকে বড় ভাইকে মোবাইলে ফোন দেওয়ার পর কান্নার শব্দ শুনতে পাই। পরে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর পরিবারের লোকজনসহ খোঁজ নিতে থাকি। রাতে খোঁজ না পাওয়ায় সকাল ৮টার দিকে ধান ক্ষেতের অদূরে তামাক ক্ষেতের মাঝে আমার ভাইসহ তিনজনকে এক রশিতে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। আমার ভাই শাহাবউদ্দিন মারা গেলেও অপর দুইজনকে আহত অবস্থায় পাই।

রোকন আরো বলেন, বেশ কয়েকজন লোক আমার ভাইসহ তিনজনকে বেঁধে তামাক ক্ষেতে রাখলে আমার ভাই এক পর্যায়ে নিজেদের রক্ষার্থে ডাকাত-ডাকাত বলে চিৎকার করলে স্বশস্ত্র দূর্বৃত্তরা আমার বড় ভাই শাহাবউদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা ও অপর দুইজনকে আহত করে।

পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শাহাবউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহত দুইজনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আমারা তিনজন মিলে সন্ধ্যায় ভাত খেয়ে ক্ষেতের ধান পাহারা দিতে যাই।  রাত ১২টার দিকে ১০-১২ জন লোক আমাদের দেখে কোন কথা না বলেই রশি দিয়ে হাত-পা ও মুখ বন্ধ করে তামাক ক্ষেতে ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যায়। ওই লোকরা রাত ১টার দিকে ফেরার সময় শাহাবউদ্দিন মুখ থেকে রশি সরিয়ে ডাকাত বলে চিৎকার দিলে তারা দৌড়ে এসে লোহার রড়সহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আমাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে দেখা যায় শাহাবউদ্দিন মারা গেছেন।    

চকরিয়া থানার অফিসর ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কি কারণে এ হত্যাকান্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
 

এবিএন/মুকুল কান্তি দাশ/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ