ফরিদপুরে ছাত্রীর সাথে অশ্লীল আচরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:৩৬
ফরিদপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ইঙ্গিত ও আপত্তিকর আচরণের ঘটনায় জড়িত বিকৃত রুচির এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে শনিবার ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই যুবকের নাম অন্তর কুমার দাস (৩৫)। তিনি সদর উপজেলার কৌজুরী ইউনিয়নের মুরারীদহ গ্রামের। আনন্ত বিবাহিত এবং মুরারীদহ এলাকায় একটি সোনার দোকানে কাজ করেন।
এ উপলক্ষে শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। ওই প্রেস ব্রিফিং-এ ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা এ বিষয়টি সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৩টার দিকে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে অটেরিকশা যোগে রাজবাড়ি রাস্তার মোড় অভিমুখি টিটিসির দিকে যাচ্ছিলেন সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অনার্স পড়–য়া ওই ছাত্রী। ওই অটোরিকশায় আগে থেকে ওই ব্যাক্তিটি বসা ছিলেন। ওই অটোতে ওই ছাত্রী ও যুবক সামনা সামনি বসা ছিলেন। শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় পাড় হওয়ার পর ওই ব্যাক্তি অশালীন আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি (অন্তর) তার প্যান্টের জিপার খুলে দেখাতে থাকেন। ছাত্রীটি এসময় মোবাইল ম্যাসেজে বিষয়টি তার ভাইকে জানায় এবং কৌশলে অন্তরের ওই অবস্থার একটি ছবিও তুলে রাখে সে। এবিষয়টি নিয়ে তার ভাই তারিক হাসান নামে একটি আইডিতে ২১ ফেব্রুয়ারীর দিনে ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়। বিষয়টি ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামানের গোচরে এলে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলামকে ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অন্তর দাসকে সনাক্ত করা হয় এবং তাকে শনিবার দুপুরে মুরারীদহ এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা । এঘটনায় ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক শামীম হাসান বলেন, রবিবার বিকেলে অন্তর দাসকে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/তোহা
তিনি জানান, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৩টার দিকে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় থেকে অটেরিকশা যোগে রাজবাড়ি রাস্তার মোড় অভিমুখি টিটিসির দিকে যাচ্ছিলেন সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অনার্স পড়–য়া ওই ছাত্রী। ওই অটোরিকশায় আগে থেকে ওই ব্যাক্তিটি বসা ছিলেন। ওই অটোতে ওই ছাত্রী ও যুবক সামনা সামনি বসা ছিলেন। শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় পাড় হওয়ার পর ওই ব্যাক্তি অশালীন আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি (অন্তর) তার প্যান্টের জিপার খুলে দেখাতে থাকেন। ছাত্রীটি এসময় মোবাইল ম্যাসেজে বিষয়টি তার ভাইকে জানায় এবং কৌশলে অন্তরের ওই অবস্থার একটি ছবিও তুলে রাখে সে। এবিষয়টি নিয়ে তার ভাই তারিক হাসান নামে একটি আইডিতে ২১ ফেব্রুয়ারীর দিনে ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়। বিষয়টি ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামানের গোচরে এলে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রাশেদুল ইসলামকে ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অন্তর দাসকে সনাক্ত করা হয় এবং তাকে শনিবার দুপুরে মুরারীদহ এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা । এঘটনায় ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক শামীম হাসান বলেন, রবিবার বিকেলে অন্তর দাসকে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এবিএন/কে এম রুবেল/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ