আজকের শিরোনাম :

ধুনটে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন দুই শিক্ষকের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৬

বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি কেও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ও সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলামের জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ছাত্রীদের নিয়ে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওই দুই শিক্ষক। জুতা পায়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবদনের ঘটনায় এলাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, শুক্রবার সকালে শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ও সহকারি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুতা পায়ে শহীদ মিনারে ফুল দিতে ওঠেন।

এসময় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা খালি পায়ে ছিলেন। এদিকে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দা জ্ঞাপনের ঝড় উঠে। ফেসবুকে অনেকে লিখেছেন ‘এটি দেশ ও জাতির জন্য একটি লজ্জার ব্যাপার। শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার বিষয়ে শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষা নেবে ?

কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে শহিদ মিনারে জুতা পায়ে ? তার এধরণের কাজ ধিক্কার জানাই এবং তার চরম শাস্তি চাই।

 আরো একজন ফেসবুকে লিখেছেন ‘শিক্ষকেরাই যদি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে না পারেন, তাহলে তাঁদের কাছ থেকে কোমলমতি ছেলে মেয়েরা কি শিক্ষা পাবে ?

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, শহীদ মিনারে আমি শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আমার মনে ছিল না যে আমার পায়ে জুতা আছে। এ ঘটনাটির জন্য আমি খুব লজ্জিত। এমন ঘটনা আর ঘটবে না।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সভাপতি ও গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী  লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, দুই শিক্ষক মনের অজান্তে এই জঘন্যতম কাজটি করেছেন। ওই সময় আমি বিষয়টি লক্ষ্য করিনি। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি।
তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হকের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দিবস পালন না করা সহ অনিয়ন, বিদালয়ের অর্থ আত্মসাত ও জালিয়াতির অসংখ্য অভিযোগ জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে রয়েছে।

ধুনট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠা ঘটনাটি দুখজনক। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এবিএন/ইমরান হোসেন ইমন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ