আজকের শিরোনাম :

ধর্মপাশায় ১০০ একর খাস জমি প্রভাবশালীর দখলে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:১২

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটী ইউনিয়নে রাজাপুর মৌজার প্রায় ১০০ একরের অধিক সরকারি খাস জমি হাজী আব্দুল গণি নামের এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বৃহস্পতিবার এলাকার দুই শতাধিক কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দায়ের করা হয়েছে। অভিযোক্ত হাজী আব্দুল গণি পাইকুরাটী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

অভিযোগের বিবরনে জানা যায়, উপজেলার পাইকুরাটী ইউনিয়নের রাজাপুর মৌজার খাস খতিয়ানভূক্ত পতিত ভূমিতে আবহমানকাল থেকে ওই ইউনিয়নের রাজাপুর, রায়পুর ও হিজলা গ্রামের কৃষকেরা গোচারণমাঠ হিসেবে তাদের গরু চড়িয়ে আসছেন।
বোরো ধান উঠানোর সময়ে বৈশাখ মাসে এ পতিত ভূমিতে যে যার মতো করে গ্রামের কৃষকেরা ধান মাড়াই করে গরুর গাড়ী, হ্যান্ডট্রলি ও ভ্যানগাড়ি দিয়ে একমাত্র ফসল ঘরে উঠিয়ে আসছেন।

কিন্তু কয়েক বছর ধরে উক্ত রাজাপুর মৌজার খাস খতিয়ানভূক্ত ভূমি ফসল ফলানোর অজুহাতে প্রতিবছর ১০/১৫ একর করে কৌশলে দখল করতে থাকেন। গ্রামের মানুষের বাধানিষেধ উপেক্ষা করে এমনিভাবে বর্তমানে বিভিন্ন রবি শস্য ফলানোর অজুহাতে প্রায় ১০০ একরের অধিক সরকারি খাসভূমি দখল করে নিয়েছেন হাজী আব্দুল গণি।

মাড়াই করা ধান নিয়ে আসার ও গ্রামের কৃষকদের গরু নিয়ে হাওরে যাতায়াতের গোপাট কেটে রাস্তা বিচ্ছিন্ন করাসহ সরকারি কবরস্থানটি পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে দাবী করে দখল করে নিয়েছেন তিনি। 

এমন অবস্থায় তাঁর অত্যাচারে গ্রামের নিরীহ কৃষকেরা তাদের গরু পালনসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ছেন।

এছাড়াও তিনি গত বছরে জাইকা প্রকল্পের নির্মিত বাঁধের পাশের গর্ত দখল করার চেষ্টা করছেন বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে অভিযোক্ত হাজী আব্দুল গণি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খাসজমি তাঁর দখলে আছে। তবে কত একর জমি তার দখলে আছে তা হিসাব করে বলতে হবে বলে জানান। 

ধর্মপাশা (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য তহশিলদারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

এবিএন/মো. ইমাম হোসেন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ