ভালুকায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৪২
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ডাকাতিয়া ইউনিয়নের বড়চালা নছিরন নহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীদের যৌন হয়রানী ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান(৪০)কে আটক করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে ভালুকা মডেল থানায় এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষন চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং৩২(২০-২-২০২০) পুলিশ মামলার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলা .পুলিশ ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক হাবিবুর রহমান রহমান ওই স্কুলে যোগদান করার পর থেকে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণী ছাত্রীদের স্কুল ছুটি হওয়ার পর ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় সিড়ির কোঠার রুমে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানী করে আসছিলো। সে একেক দিন একেক ছাত্রীদের সাথে এই ঘটনা করে আসছিলো। পরবর্তীতে এক ছাত্রী স্কুলে না আসার কারণ তার পরিবারকে জানালে গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী এই বিষয়টি তার পরিবার কে খুলে বলে। ১১বছরের ওই ছাত্রী জানায় তাদেরকে সিড়ির কোঠার ঘরে নিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে যৌন হয়রানী ও ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। ঘটনাটি ওই ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকে জানালে তাৎক্ষনিক তারা বিষয়টি স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানায়। পরবর্তীতে ওই স্কুলের সভাপতি বাদী হয়ে বিষয়টি লিখিত আকারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর জানালে পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, এলাকার ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের তদন্ত করার পরে বিষয়টির সত্যতা পায় ।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত এক ছাত্রীর মা পারভিন আক্তার জানান, আমার মেয়ে প্রায়ই স্কুলে যেতে চাইত না। অন্য স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য আমাকে বলতো বিষয়টি আমি বুঝতে পারতাম না এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আমি বুঝতে পারছি মেয়ে কি কারণে স্কুলে যেতে চাইত না।
স্কুলের মানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান,ওই শিক্ষক আরও অনেক আগ হতেই এসব কুকর্ম করত। সে অন্য আরও দুটি স্কুল হতে এ জন্যই বদলী করা হয়েছে বলে আমরা পরে জানতে পারি। ওই শিক্ষক আমার স্কুলে আসার পর ছাত্রীদের স্কুলে আসা অনেকটা কমে গেছে। আমি এই শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। এ ব্যাপারে ভালুকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান,আমরা তদন্ত করার পর ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে আবেদনে যতটুকু ছিলো তা পায়নি। ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন জানান, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করি। তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিএন/জাহিদুল ইসলাম/জসিম/তোহা
স্কুলের মানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান,ওই শিক্ষক আরও অনেক আগ হতেই এসব কুকর্ম করত। সে অন্য আরও দুটি স্কুল হতে এ জন্যই বদলী করা হয়েছে বলে আমরা পরে জানতে পারি। ওই শিক্ষক আমার স্কুলে আসার পর ছাত্রীদের স্কুলে আসা অনেকটা কমে গেছে। আমি এই শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। এ ব্যাপারে ভালুকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান,আমরা তদন্ত করার পর ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তবে আবেদনে যতটুকু ছিলো তা পায়নি। ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন জানান, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করি। তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবিএন/জাহিদুল ইসলাম/জসিম/তোহা
এই বিভাগের আরো সংবাদ