আজকের শিরোনাম :

রাণীশংকৈলে রাস্তার ধারে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে উজার

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:১৮

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ কর্মকর্তার জোগসাজসে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী সরকারি গাছ চোরাই ভাবে কর্তন করার সময় গাছটি জব্দ করেছে জেলা পরিষদের উপ-সহকারি প্রকৌশলী। পরদিন বুধবার ১৩নং লটের দার্য়িত্বে থাকা অফিস সহকারি নাজমুল হোসেন ও কেয়ারটেকার আলাল কে শোকচ করেছে জেলা পরিষদ। তবে গাছ কর্তনকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, জেলা পরিষদের অধীনে পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার রাস্তার ধারে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করেছে জেলা পরিষদ কতৃপক্ষ। ১৩নং লটের গাছ ক্রেতা আবুল কালাম আজাদ বৈধ্য গাছের পাশাপাশি অবৈধ ভাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করে। স্থানীয় লোকজন চোরাই ভাবে গাছ কর্তনের খবর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাঃ সাদেক কুরাইশী কে জানালে, তিনি দ্রুত ভাবে উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে ঘটনা স্থলে প্রেরণ করেন।

উপ-সহকারি প্রকৌশলী জাকির হোসেন সঙ্গীয় জেলা পরিষদ সদস্য এখলাসুর রহমান লিটন রফিক পেট্রোল পাম্পের সামনে  মেহগোনি গাছ (যার মূল্য প্রায় ৬০হাজার টাকা) জব্দ করে ডাকবাংলো চত্তরে জমা রাখেন। এসময় ১৩নং লটের দ্বার্য়িত্বে থাকা অফিস সহকারি নাজমুল হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন ভাই এ গাছটি একজনের মেয়ের বিয়ে ব্যাপারে দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারি গাছ নিজ ইচ্ছেমত দিতে পারেন কিনা প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের দুপুরের লাঞ্চকরার অনুরোধ জানান।

এসময় শ্রমিক নেতা আ. রহিম অভিযোগ করে বলেন, আমার শ্রমিক কার্যালয়ের সামনে মেহগনি (নাম্বারিং ছাড়া) গাছটি অনিয়ম ভাবে তারা কেটে ফেলেছেন। বলা মূহুর্তে গাছ ত্রেতা ও গাছ তদারকি দায়িত্বে কর্মকর্তার লোকজন রফিক জেলা পরিষদের লোকজনের সামনে তাকে লাঞ্চিত করেন।

এমনি ভাবে স্থানীয় লোকজন বলেন, পুরাতন সেন্টারের সামনের গাছটি সহ আরো ৮টি গাছ অবৈধ ভাবে কর্তনের অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদ প্রধান সহকারি বিমল শর্ম্মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন অভিযুক্ত ২জন কে শোকচ করা হয়েছে এবং বিষয়টি ২জন উপ-সহকারি প্রকৌশলী কে তদন্তের দার্য়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
 

এবিএন/মোবারক আলী/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ