সুনামগঞ্জে মৎস্য খামার খননে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৫০
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রাম সংলগ্ন ছোট হাওরে ব্যক্তি মালিকানা ভূমিতে মৎস্য খামার খননে প্রতিপক্ষের বাঁধা, বেকুগাড়ি (ট্্রাক্টর) ড্রাইভার ও ঠিকাদারকে মারধর, খামারের টিনসেড ঘর ভাংচুর, নগদ টাকা পয়সা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহতরা হলো, কুমিল্লা দাউদকান্দি উপজেলার ডাকারগাঁও গ্রামের আব্দুল কাদির ভূইয়ার ছেলে শাহাদাৎ আলী ও সুমন মিয়া, বিরামপুর গ্রামের সাধু মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়া।
মারামারির খবর পেয়ে ভূমির রেকর্ডীয় মালিক ঘঁটনাস্থলে পৌছে আহতদের প্রতিপক্ষের কবল থেকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত ও জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। একই গ্রামের মরহুম আপ্তর আলীর ছেলে ভূমি খেকো তাজউদ্দীন তার ভাই আশ^াব উদ্দীন, আব্দুর রহিমের ছেলে সুহেল মিয়া, মছব্বির মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, তাজ উদ্দীনের ছেলে শিবলু মিয়া মিলে দেশীয় অস্ত্র রামদা, সুলফি, রড, লাটি দ্বারা অনধিকার খামারে ডুকে এলোপাতারি বাইরাইয়া ড্রাইভার ও ঠিকাদারকে গুরুতর আহত করে।
এ ঘটনায় ভূমির মালিক মো নবী আলী ৫ জনকে আসামি করে প্রথমে সদর মডেল থানায় পরে আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সদর জোনে মামলা দায়ের করেন। যার সি,আর মোকদ্দমা নং-১০০/২০২০। তারিখ ১৮/২/২০।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯/৯/১৯ তারিখে ২০৫০ নং-দলিল মূলে বনগাঁও মৌজার, জেএল নং-সিএস,এসএ ৫৬, আরএস, বিএস ৪১, খতিয়ান নং-সিএস, এসএ ৪৮৭, আরএস, বিএস, ডিপি-৯০৩, সিএস, এসএ ১০২২ নং-দাগের ৬.৯০ একর লায়েক পতিত রকম ভূমি মনোজ লাল রায় এর কাছ থেকে ক্ররিদ সূত্রে মো. নবী আলী মালিক হন। পরবর্তীতে নবী আলী ঐ পতিত ভূমিতে খামার তৈরী করার প্রস্তুতি নিলে প্রতিপক্ষরা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে প্রথমে ড্রাইভার পরে ভূমির মালিককে খুন করার হুমকি দিলে গত ১১/১২/১৯ তারিখে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন।
থানায় ডায়রী করায় কিছুদিন পর আসামি কর্তৃক নবী আলীকে বিরামপুর খেয়া ঘাটে পেয়ে আবারও খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। পরে নবী আলী গত ২৫/১/২০ তারিখে সদর মডেল থানায় ঐ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আরেকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামিরা প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকার নিরীহ মানুয়ের রেকর্ডীয় জায়গা-জমি এবং সরকারি খাসভূমি অবৈধভাবে দখল করে মাটি উত্তোলন করে ইটভাটায় বিক্রি করছে। আমার রেকর্ডীয় ভূমিতে মৎস্য খামার তৈরী করার জন্য মাটি খনন করে পাড় নির্মাণ করা অবস্থায় প্রতিপক্ষরা আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে।
ঘটনার দিন সকালে বেকুগাড়ির মজুরীর টাকা দেওয়ার জন্য সুনামগঞ্জ কৃষি ব্যাংক থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আমার ছেলে আকমল হোসেন রনির নিকট দেই। টাকা নিয়ে খামারে যাওয়া মাত্রই প্রতিপক্ষরা লুভে পড়ে তার সাথে থাকা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এদিকে আমার ড্রাইভারকে ভয়ভীতি ও মারধর করে তার ভেকুগাড়ি দিয়ে খামারের পাড় খেটে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মো নবী হোসেন জানান, আমার ক্ররিদকৃত ভূমিতে খামার তৈরী করতে গিয়ে চাঁদা বাজদের খপ্পড়ে পড়ে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ। তাদেরকে মোটা অংকের চাঁদা না দেওয়ায় ড্রাইভারকে মারধর করে নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে। আমি ঐ চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে আসামি তাজউদ্দীনের মোবাইল ফোনে বার বার কল করলেও রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুর রহমান জানান, এ ঘটনার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ