বদলগাছীতে ছোট যমুনা নদী এখন ফসলের মাঠ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:০৮
নওগাঁর বদলগাছীতে ছোট যমুনা নদী তার যৌবন হারিয়ে যেন ফসল ফলানোর মাঠের পরিণত হয়েছে। নদীর বুক জুড়ে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দেখা দিয়েছে।
বদলগাছী উপজেলার কোল ঘেঁষে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীতে বর্ষার মৌসুমে ১/২ মাস জোয়ার থাকে, বিগত কয়েক বছর থেকে ছোট যমুনা নদী তার আপন সত্ত্বা হারিয়ে আগাম শুকিয়ে যাওয়ায় নদীর বুকে সাফল্যজনকভাবে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল করছে স্থানীয় ভূমিহীন কৃষকরা। অথচ এই নদীই ছিল এক সময় এই এলাকার মানুষের নৌকায় ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম নদী। নদীর হাঁটু জলে গরুর গাড়ি পারাপার হত। তীব্র গরমে গ্রামের ছোট ছেলে মেয়েদের নদীর জলে সাঁতার কাটা দৃশ্য, এখন শুধু যেন স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বদলগাছীর এই ছোট যমুনা নদীই যেন নিষ্প্রাণ, মরা খালে পরিণত হয়ে পড়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তন আর প্রাকৃতিক বিরূপ প্রভাবে নদীকে নিয়ে যত ছন্দ কবিতা আর গান সব কিছুতেই যেন কলম আজ থমকে দাঁড়িয়েছে । বদলগাছীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত সেই খর¯্রােতা ছোট যমুনা নদী শুধু বর্ষাকালে কয়েকদিনের জন্য ফুটে ওঠে। বাস্তব চিত্র এখন নদীর তলায় চাষাবাদ হচ্ছে।
ছোট যমুনার বর্তমান গতিপথ কূল কিনারা দেখে উপজেলার সচেতন প্রবীণ মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের ধারণা আগামী ১০ বছর পর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কবির কাব্য কথা কিংবা শিল্পীর গানের কথার মতই হয়ত বা মনে করবে এই খানে এক নদী ছিল।
বদলগাছীর কাদিবাড়ী ঘাটে প্রবীণ সাধু মাঝি বলেন, নদীর গতিপথ নদীর প্রাণ সেই গতি পথ যদি হয় রুদ্ধ আর ভরাট তাহলে নদীতে থাকবে না আর জল, চলবে না নৌকা গাইবে না মাঝি গান নদী যেন নিষ্প্রাাণ।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. হাসান আলী বলেন, উপজেলাতে ছোট যমুনা নদীতে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ হেক্টর নদীর চরে ধান চাষ হয়েছে। তাই সচেতন মহলের অভিমত আমাদের এই ছোট যমুনাকে বাঁচাতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে সেই সাথে সরকারিভাবে নদী খননের মধ্য দিয়ে আবারো ফিরিয়ে আনতে হবে নদীর সেই নাব্যতা ও ভরা যৌবন।
এবিএন/হাফিজার রহমান/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ