আজকের শিরোনাম :

রাণীশংকৈলে প্রকৌশলীর দাপটে হররানির স্বীকার ঠিকাদাররা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:৫৮

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে চাকুরী করার সুবাদে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই, আর কর্তৃপক্ষ বলছে প্রকৌশলী সংকট। 

সরকার তামাক জাতীয় ধুমপান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) সালে প্রণয়ন করলেও গত ৬ জানুয়ারি উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম অত্র দপ্তরের (মাস্টাররোল) অফিস সহায়ক আইনুল হককে জোরপূর্বক ১০টি সিগারেট ধুমপান করান। এ সময় অফিস সহায়ক আইনুল হক ধুমপান করতে অস্বীকার করলে তাকে প্রকৌশলী এলোপাথারিভাবে কিল ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। 

বিষয়টি অফিসের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে মুহুর্তের মধ্যে অফিস ছেড়ে পকৌশলী বাসায় চলে যান। এ প্রসঙ্গে অফিস সহায়ক আইনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইঞ্জিনিয়ার স্যারের মাথা খারাপ ছিল মনে হয়, তিনি জোরপূর্বক আমাকে সিগারেট খাওয়াছিল না খেলে লাথি মারছে।   

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম গত ২০১৩ সালে রাণীশংকৈল উপজেলায় যোগদানের পর থেকে একের পর এক অনিয়ম করে যাচ্ছে। তিনি জাইকা প্রকল্পের অধিনে (১৫-৩-১৯) ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইটিসি ভবন নির্মাণের টেন্ডার আহবান করেন। ভবন নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগ হলে উপজেলা প্রকৌশলী ২৮ ফিট দৈর্ঘ্য দেখিয়ে লেয়ট দেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দৈর্ঘ্য হবে ২০ ফিট। ফলে নিয়োগকৃত ঠিকাদার আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লব ও আবু তাহের পড়েন লোকসানে। দীর্ঘদিন ধরে ঠিকাদারের ক্ষতিপূরণ রিভাইস দিয়ে পুষিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো তা ফান্ড তৈরি করে বিল দিতে পারেননি। 

অপরদিকে ঠিকাদারদের বিভিন্ন নির্মাণ কাজে লেয়ট দেওয়া কিংবা ঢালাই কাজে প্রকৌশলীকে যেতে বললে তিনি ঠিকাদারদের কাছে প্রাইভেটকার খোঁজেন। সম্প্রতি নেকমরদ এলাকার আব্দুল করিম ঠিকাদারকে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লাঞ্ছিত করলে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। স্থানীয় ঠিকাদার আহাম্মেদ হোসেন বিপ্লবের সহায়তায় আপোস মীমাংসা হয়। গত ১৫ জানুয়ারি  ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজে বিল দেওয়ার সময় তিনি কাউকে কম কাউকে বেশি বিল দেন। এ সময় ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন কাজের পরিমাণ অনুযায়ী বিল না দিয়ে তিনি পিসি (ঘুষ) মোতাবেক বিল দিয়েছেন। এ নিয়েও প্রকৌশলী অফিসে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন একই অফিসে চাকুরী করার সুবাদে কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজ অফিসে চেয়ারে বসেই সিগারেট খান তিনি।  

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম জানান, নির্মাণাধীন কাজ তদারকির জন্য যেসব ঠিকাদারের প্রাইভেট গাড়ী রয়েছে তাদের গাড়ীতে যাই, তাছাড়া যাদের গাড়ী নেই তাদের বেলায় অফিসিয়াল মোটরসাইকেলে যাই। আর আমার অফিসের আইনুলের সাথে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে নাই আপনারা জোর করে যদি ঘটনা ঘটান তাহলে আমার কোন করার নাই।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তেশ্বর বর্ম্মনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি তিনি প্রায় এরকম ঘটনা ঘটান। 

তাছাড়া প্রকৌশলী সংকট থাকায় বদলী করা হচ্ছেনা, নতুন প্রকৌশলী নিয়োগ হলেই বদলী করা হবে।

এবিএন/মো. মোবারক আলী/গালিব/জসিম


 

এই বিভাগের আরো সংবাদ