আজকের শিরোনাম :

হাটহাজারীতে সিএনজি চালককে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:০২

হাটহাজারীতে মো. ফরিদুল আলম নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে যাত্রীবেশী তিন যুবক গলাকেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। 

গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে (৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার ইসলামিয়াহাটস্থ মজলিশ দিঘীর উত্তর পাড়ে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামিয়াহাটস্থ মজলিশ দিঘির ভেতরে অন্ধকারে চিৎকার শুনে প্রথমে এক যুবক এগিয়ে গেলে ভিকটিমকে ফেলে কয়েকজন লোককে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে দেখে এক যুবক। পরে তার চিৎকারে আশেপাশের লেকজন এগিয়ে এসে দিঘির ভেতর রক্তাক্তবস্থায় সিএনজি চালক ফরিদুল আলমকে উদ্ধার করে দ্রুত একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

ভিকটিম জানান, বড়দিঘির পাড় থেকে তিন যুবক ইসলামিয়াহাটস্থ মজলিশ দিঘীর পূর্বপাশে মালেক মেম্বারের বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে রিজার্ভ করে আমার গাড়ীতে (চট্টগ্রাম-থ-১৪৪৭৪৬) উঠে। কিন্তু দিঘির উত্তর পাড়ের ওই রাস্তায় ঢুকামাত্র তারা গাড়ি দাড় করাতে বলে। এবং আমার কাছে যা আছে তা তাদের হাতে তুলে দিতে বলে। আমি আতংকিত হয়ে আমার টাকা পয়সা মোবাইল যা আছে সবই নিয়ে যেতে বলি। এক পর্যায়ে তারা আমাকে জোর করে দিঘির নিচে পানির কাছে নিয়ে মাটিতে ফেলে চেপে ধরে জবাই করতে চাইলে আমি প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার শুরু দেই এবং আমার সবটুকু শক্তি দিয়ে তাদের কাছ থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করি। এতে তাদের সাথে আমার প্রচন্ড ধস্তাধস্তি হয়। এর মধ্যে স্থানীয় এক যুবক আমাদের ধস্তাধস্তি ও চিৎকারের শব্দ শুনে আমাদের দিকে আসলে ওই ৩ যুবক আমার মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন, গাড়ির চাবি, নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

ভিকটিম সিএনজি ড্রাইভার মো. ফরিদুল আলম উপজেলার ৮নং মেখল ইউনিয়নস্থ ৯নং ওয়ার্ডের মেখল ফকিরহাট এলাকার মৃত কালু কাওয়াল ও মরহুমা চেহের খাতুনের পুত্র। তবে দীর্ঘদিন ধরে সে বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিমে আদর্শ গ্রামের মেখল ঘোনা নামক এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে। 

দিঘীর পূর্ব পাশের বাসিন্দা, লোকমান, জাহেদ, এনামসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানান, সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই ওই তিন যুবক এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। বাপ চাচাদের মুখে শুনেছি, আমরা যখন ছোট ছিলাম অর্থাৎ ১৫/২০ বছর আগে তখন সড়ক বাড়ি ছিলো না, আশপাশও এতো পরিস্কার ছিলেনা তখন এমন ঘটনা ঘটতো কিন্তু আমাদের বুদ্ধি হবার পর গত ১০/১২ বছরে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা আমাদের জানা নাই। 

এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার পক্ষ থেকে হাটহাজারী মডেল থানায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। 

জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি তদন্ত রাজিব শর্মা জানান, ভিকটিমের সাথে কথা হয়েছে, বর্তমানে তিনি চিকিৎসারত আছেন, তবে ভিকটিম বিকালের দিকে মডেল থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিবেন বলে জানিয়েছেন । অভিযোগ পেলেই আমরা দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো। স্থানীয়রা এসব এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটার দিকে হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের গুড়ামিয়া চৌধুরী বাড়ির আবদুল হালিম চৌধুরীর পুত্র সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নুরুল আজম চৌধুরীকে দৃর্বৃত্তরা রাউজান এলাকায় কুপিয়ে শরীর থেকে মাথা আলাদা করে হত্যা করে।

এবিএন/মো. আলাউদ্দীন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ