হোসেনপুরের চরে একই জমিতে চার ফসল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:২৪
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে একই জমিতে হচ্ছে চার ফসল। চরাঞ্চলে ২/৩ ফসলের পরিবর্তে চার ফসল ভিত্তিক ফসল ধারা উদ্ভাবন কর্মসূচির আওতায় হোসেনপুর উপজেলায় এবার আলু, মরিচ ও রোপা আমন ধানের পরিবর্তে আলু, মিষ্টি কুমড়া, রোপা আউশ ও রোপা আমন ধান চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফসল নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণে চার ফসল ভিত্তিক ফসল বিন্যাস উদ্ভাবন ও বিস্তার কর্মসূচির অর্থায়নে কিশোরগঞ্জ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ চার ফসল চাষের এ উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করছে।
কিশোরগঞ্জ কৃষি গবেষণা উপকেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, চরাঞ্চলে কৃষক একটু সচেতন হলে সহজেই চার ফসল চাষ করতে পারবে। প্রয়োজন শুধু একটা ফসল হারভেস্ট করার আগে পরবর্তী ফসলের বীজ সংগ্রহ করে রাখা। অথবা চারা করে রাখা, যাতে ফসল সংগ্রহের পরই জমি তৈরি করে চারা লাগানো যায়। তিনি আরও জানান, ২০১৮ সনে প্রথম চার ফসল চাষের উদ্যোগটি নেওয়া হয়। সে বছরের ১৮ নভেম্বর আলু ও মিষ্টি কুমড়া একসাথে বীজ লাগানো হয়। ৯০ দিন পর অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি বারি আলু-২৫ হারভেস্ট করার পর মিষ্টি কুমড়া জমিতে থেকে যায়। এর আরও ৫০ দিন পর অর্থাৎ ৮ এপ্রিল মিষ্টি কুমড়া হারভেস্ট করা হয়। এরপর এপ্রিলের ২৭ তারিখ ব্রিধান-৪৮ লাগানো হয় এবং ১৯ জুলাই হারভেস্ট করা হয়। এরপর ৪ আগস্ট বিনাধান-৭ লাগানো হয় এবং ২৭ অক্টোবর হারভেস্ট করা হয়।
এভাবে প্রতি হেক্টরে বারি আলু-২৫ ফলন পাওয়া গিয়েছিল ২৬ মেট্রিক টন, মিষ্টি কুমড়া ২৮.৮১ মেট্রিক টন, রোপা আউশ ৩.৮ মেট্রিক টন এবং রোপা আমন ৪.৮২ মেট্রিক টন।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সহায়তায় হোসেনপুর উপজেলার পূর্ব দ্বীপেশ্বর চর গ্রামের কৃষক হারুন অর রশীদ ও নজরুল ইসলাম দুজনই গত বছর এক একর করে জমিতে চার ফসল চাষের উদ্যোগ নিয়ে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। গত বছরের সফলতায় তারা এবারও চার ফসল চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে চার ফসল চাষের উদ্যোগ জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে কিশোরগঞ্জ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এবিএন/খায়রুল ইসলাম/জসিম/তোহা
কিশোরগঞ্জ কৃষি গবেষণা উপকেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, চরাঞ্চলে কৃষক একটু সচেতন হলে সহজেই চার ফসল চাষ করতে পারবে। প্রয়োজন শুধু একটা ফসল হারভেস্ট করার আগে পরবর্তী ফসলের বীজ সংগ্রহ করে রাখা। অথবা চারা করে রাখা, যাতে ফসল সংগ্রহের পরই জমি তৈরি করে চারা লাগানো যায়। তিনি আরও জানান, ২০১৮ সনে প্রথম চার ফসল চাষের উদ্যোগটি নেওয়া হয়। সে বছরের ১৮ নভেম্বর আলু ও মিষ্টি কুমড়া একসাথে বীজ লাগানো হয়। ৯০ দিন পর অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি বারি আলু-২৫ হারভেস্ট করার পর মিষ্টি কুমড়া জমিতে থেকে যায়। এর আরও ৫০ দিন পর অর্থাৎ ৮ এপ্রিল মিষ্টি কুমড়া হারভেস্ট করা হয়। এরপর এপ্রিলের ২৭ তারিখ ব্রিধান-৪৮ লাগানো হয় এবং ১৯ জুলাই হারভেস্ট করা হয়। এরপর ৪ আগস্ট বিনাধান-৭ লাগানো হয় এবং ২৭ অক্টোবর হারভেস্ট করা হয়।
এভাবে প্রতি হেক্টরে বারি আলু-২৫ ফলন পাওয়া গিয়েছিল ২৬ মেট্রিক টন, মিষ্টি কুমড়া ২৮.৮১ মেট্রিক টন, রোপা আউশ ৩.৮ মেট্রিক টন এবং রোপা আমন ৪.৮২ মেট্রিক টন।
কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের সহায়তায় হোসেনপুর উপজেলার পূর্ব দ্বীপেশ্বর চর গ্রামের কৃষক হারুন অর রশীদ ও নজরুল ইসলাম দুজনই গত বছর এক একর করে জমিতে চার ফসল চাষের উদ্যোগ নিয়ে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। গত বছরের সফলতায় তারা এবারও চার ফসল চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে চার ফসল চাষের উদ্যোগ জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে কিশোরগঞ্জ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এই বিভাগের আরো সংবাদ