চিতলমারীতে দুই হাজার কৃষককে আর্থিক সহায়তা প্রদান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:৫৬
‘কৃষি কার্ড যার, আঙ্গুলের ছাপ তার। আঙ্গুলের ছাপ যার, আর্থিক সহয়তা তার।’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ এক হাজার ৮৯০ জন কৃষককে আজ মঙ্গলবার সার, বীজ ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর।
ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য চলতি রবি মৌসুমের ভূট্টা, শীত-গ্রীষ্মকালীন মুগ ও বসতবাড়ি সংলগ্ন চাষ উপযোগী সবজি বীজ দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বিআরডিবি মিলনায়তনে এই উপকরণাদি বিতরণ করা হয়।
এছাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে প্রকৃত কৃষিকার্ডধারীকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে কৃষক প্রতি পাঁচশ টাকা দেয়া হয়।
বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মারুফুল আলমের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মাহাতাবুজ্জামান ও চিতলমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সি দেলোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার।
শিবপুর গ্রামের হারুন কাজীর পুত্র কৃষক ইউসুফ বিনামূল্যে এই কৃষি উপকরণ পেয়ে ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরপর যে ধান উৎপাদন হয়েছিল বাজারে তার দাম কম ছিল। এমন মুহুর্তে কৃষি অফিস থেকে এই সাহায্যে ভীষণ উপকার হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এক হাজার ২২০ জন কৃষককে সবজি বীজ, ৪০০ জনকে ভূট্টা বীজ এবং ২৫০ জনকে মুগ ডালের বীজ দেওয়া হয়েছে। ভূট্টা বীজপ্রাপ্ত প্রতি কৃষক এক কেজি ভূট্টা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার ও নগদ পাঁচশ টাকা পেয়েছে। মুগ ডাল প্রাপ্ত প্রতি কৃষকের জন্য এক কেজি ডালের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার ও নগদ পাঁচশ টাকা।
বিভিন্ন প্রকারের সবজি বীজ প্রাপ্ত প্রতি কৃষক ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার ও নগদ পাঁচশ টাকা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় কৃষকরা বিনামুল্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
এবএিন/এস এস সাগর/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ