ভোলায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণীর ছাত্রী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:১৭
ভোলায় পুলিশের সহায়তা বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
গতকাল রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে মোস্তফা বেপারী বাড়ীতে মেয়েটির বিয়ে উপলক্ষে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করে দিয়ে মেয়েটিকে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। এ সময় পুলিশ কনের বাবা কামাল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে দিবেন না এই মর্মে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করে তিনি আইনের হাত থেকে রক্ষা পান।
স্থানীয় সূত্র জানা যায় যে, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোস্তফা বেপারী বাড়ীর হোটেল কর্মচারী কামাল হোসেন ২য় মেয়ে হাফছা আক্তার। আফছা আল হেরা দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
বাল্যবিয়ে দেয়ার জন্য পার্শ¦বর্তী বাপ্তা ইউনিয়নের এক অটোড্রাইভার সাথে বিয়ে ঠিক করে মেয়ের পরিবার। বিয়ের আগে গতকাল রবিবার মেয়ের বাড়ীতে গায়ে হলুদ এর আয়োজন করে কনের পরিবার। বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ইউনিসেফ ও কোস্ট ট্রাস্ট পরিচালিত কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা শিশুর হেল্প লাইন ১০৯৮ ফোন দেয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় ভোলা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক সুমন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর এপিসি প্রকল্প এর সিআর এফ ও কোস্ট ট্রাস্ট এর সিবিসিপিসি এর সদস্যরা মেয়ের বাড়ী গিয়ে হাজির হয়। পরে গায় হলুদ এর আয়োজন বন্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশ কনের বাবা কামাল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আর মেয়ে মা বাল্যবিয়ের কুফল বুঝতে পেরে মেয়েকে ১৮ বছর আগে বাল্যবিয়ে দিবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন এবং মেয়েকে পড়াশোনা করাবে বলে জানায়।
মেয়ের মা মেহের আফছুন জানায়, পোলার আশায় ৪ টি মেয়ে হইছে। দারিদ্রতা ও নিরাপত্তাহীনতার কারনে মেয়েকে বাল্য বিয়ে দিতে হচ্ছিলো। এখন আমি বুঝতে পারছি। আমি আর মেয়েকে ১৮ বছর আগে আম কোন মেয়েকে বিয়ে দিবোনা। এদিকে রাতে মেয়ের বাবা কামাল হোসেন কে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানায়, বাল্যবিয়ে রোধে আমরা পুলিশ প্রশাসন জিরো টলারেন্স। কোথাও কোন জায়গায় বাল্যবিয়ে কথা শুনলে আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেই এবং পরিবারকে সচেতন করি বাল্যবিয়ে না দেয়ার জন্য। আশাকরি সরকারে যে বাল্যবিয়ে মুক্ত করন জেলা গড়বে তাতে পুলিশ প্রশাসন বড় ভূমিকা রাখবে।
এবিএন/আদিল হোসেন তপু/গালিব/জসিম
এবিএন/আদিল হোসেন তপু/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ