আজকের শিরোনাম :

ব্রিজই এখন আতংক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০১৮, ১৪:১১

বিজয়নগর (ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়া) , ০৩ জুলাই, এবিনিউজ : ব্রা‏‏হ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পূর্ব সীমানা দিয়ে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলায় যাওয়ার জনগুরুত্বপূর্ণ মির্জাপুর - হরষপুর সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলার অন্তত ১৫/২০টি গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। এ রাস্তার মধ্যে হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিমপার্শ্বে একটি ব্রীজ আজ থেকে প্রায় ৬ মাস পূর্বে একাধিক স্থান ভেঙ্গে ফাঁকা হয়ে রড বের হয়ে আছে ।  এরই মধ্যে রাস্তাটি স্থানীয় অটোরিক্সা ড্রাইভারদের সহযোগিতায় স্থানীয়রা ব্রীজ আংশিক মেরামত করে ছোট যানবাহন চলাচলের উপযোগি করে তোলে। এরই কিছু দিন পর একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তা সংস্কার সহ ব্রীজটি কাজ পেয়ে কাজ শুরু করেন। 

কিন্তু ব্রীজটির কাজ শুরু করার পূর্বে জন সাধারণ চলাচলের জন্য  একটি বিকল্প রাস্তা তৈরী করা কথা থাকলে আদৌ পযর্ন্ত বিকল্প রাস্তাটি না করে ব্রীজের পূর্বাংশের পুরো অংশ ভেঙে ফেলে টিকাদারী প্রতিষ্ঠান।  বর্তমান সময়ে ব্রীজের পূর্বাংশের প্রায় ২৫ ফুট জায়গা ভেঙে ফাঁকা হয়ে এলামেলো অবস্থায় রড বের হয়ে আছে এবং এ ভাঙ্গা ব্রীজটির উপর দিয়েই প্রতিদিন স্কুল, কলেজে এবং জন সাধারণ মানুষ আতংকের মাঝে পারাপার হচ্ছে এ ব্রীজটি দিয়ে।  

ব্রীজটি ভেঙে ফেলায় দুই উপজেলার হাজার হাজারে পথচারিরা পড়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে। এব্যাপারে মাধবপুর উপজেলার শামসু মিয়া তার পরিবার নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে বিজয়নগরের যাওয়ার উদ্যোশে আসলে হরষপুর রেলওয়ে স্টেশনে ব্রীজের কাছে এসে ব্রীজের ভাঙ্গার দৃশ্য দেখে আর সামনের দিকে আসতে পারেনি তার মাইক্রো গাড়িটি। পরে তিনি ঐ গাড়িটি নিয়ে মাধবপুর উপজেলা হয়ে ঢাকা- সিলেট মহাসড়ক দিয়ে বিজয়নগর উপজেলা আসনে তিনি। এভাবে প্রতিদিন একাধিক ব্যক্তি এ ধরনের দূভোর্গে পড়েন। 

বঙ্গবীর উসমানি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো: শাহজাহান মিয়া ও দশম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা বলেন, বিকল্প রাস্তা না করে ব্রীজের পুবের(পূর্ব) অংশ ভেঙ্গে কাজ আরম্ব করায়  আমার প্রতিদিন স্কুলে আসা যাওয়া করতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। খুবই আতংকের মাঝে আমরা ব্রীজের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পার হচ্ছি। কখন জানি নিচে পড়ে যাই । 

প্রতিবন্ধি বীর মুক্তিযোদ্ধা  ইদ্রিছ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মানুষ যাতায়াত করার জন্য কোনো ব্যবস্থা না করে ব্রীজটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে তা কি ঠিক করা হয়েছে আপনারাই (সাংবাদিক) বলেন? আজ মানুষ কত যে কষ্ট করে পার হচ্ছে ব্রীজটি তা তো আপনারা দেখছেই। এ ব্রীজটি এখন সাধারণ মানুষের জন্য বড়ই আতংক। 

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি এমপি মহোদয়ের নির্দেশে রাস্তা সহ ব্রীজটি পরিদর্শন করেছি। রাস্তা এবং ব্রীজটি যেন ভালো ভাবে কাজ হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য প্রকৌশলীকে বলেছি এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকদেরকে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।

 এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জামাল উদ্দিন জানান, ব্রীজটি মেরামতের কাজ একটি  ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেয়েছে।  বলা হয়েছে যে,  ব্রীজের কাজ শুরু করার আগে সাধারণ মানুষ চলাচলের জন্য বাঁশের মাচা দিয়ে বিকল্প রাস্তা তৈরীর করার জন্য। 

এবিএন/ এসএম জহিরুল আলম চৌধুরী(টিপু)/জসিম/নির্ঝর

এই বিভাগের আরো সংবাদ