আজকের শিরোনাম :

তিন মাস পর মাকে দেখে চিনতে পারল না ছেলে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:২৯

নানা কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলস্টেশনে পরে থাকা শতবর্ষী বৃদ্ধা রাহেলা বেগম কে ফিরিয়ে দেয়া দেওয়া হল স্বজনদের কাছে। বৃদ্ধার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারন ইউনিয়নের মৃত নবী মণ্ডলের স্ত্রী। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম শেষে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সেই শতবর্ষী বৃদ্ধাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান।

এর আগে গত সোমবার সকালে ওই বৃদ্ধার ছেলে কাশেম বিভিন্ন সংবাদ মারফত খবর পেয়ে সনাক্ত করতে এসে সঠিকভাবে চিনতে পারেনি গর্ভধারিণী মাকে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও স্থানীয় প্রশাসনের মাঝে সৃষ্টি হয় নানা ধরনের প্রশ্ন। পরে বৃদ্ধার পুত্রবধূ রহিমাসহ ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ওমর হোসেন সরদার হাসপাতালে এসে বৃদ্ধাকে সনাক্ত করে।

এ বিষয়ে ওই বৃদ্ধার ছেলে কাশেম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, যশোরের বেনাপোলে অবস্থানরত তার ছোটভাইয়ের বাড়িতে অক্টোবর মাসের শেষ দিকে বেড়াতে গিয়েছিলেন তার বৃদ্ধ মা। এর কয়েকদিন পর ভাই মাকে বাসে তুলে দেয় বাড়ি ফেরার জন্য। কিন্তু ভুল বসত বাসের সুপারভাইজার নাভারনে না নামিয়ে যশোর শহরে তাকে নামিয়ে দেয়। এর পর থেকে নিখোঁজ হন তিনি। হটাৎ তার মাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর দেখতে আসি। দীর্ঘদিন মাকে দেখতে না পাওয়ায় প্রথম অবস্থায় চিনতে অসুবিধা হয়েছে। পরে বুঝতে পারি যে ওই বৃদ্ধা মহিলা আমার মা।

রহনপুর পৌর মেয়র তারিক আহমদ বলেন, একজন ছেলে তার মাকে চিনতে না পারায় আমি হতবাক হয়েছি। তবে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং তার স্থানীয় লোকজন সনাক্ত করেছেন যে ওই বৃদ্ধা কাশেমের মা।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, আমরা যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি যে,ওই শতবর্ষী বৃদ্ধা হচ্ছেন কাশেমের মা। আমরা বৃদ্ধাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি এবং সেখানকার প্রশাসনের নজরদারিতে থাকবেন তিনি।

এদিকে রেল ষ্টেশন থেকে উদ্ধার করা ওই বৃদ্ধাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে পেরে দেখভাল করা এএসআই তোহিদুল, ডিএসবি সদস্য নুরনবী ও সিরাজ আনন্দ প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি রহনপুর রেল ষ্টেশন থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই বৃদ্ধা রাহেলা বেগম কে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ