আজকের শিরোনাম :

জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে নতুন খাল খনন উদ্বোধন করলেন চসিক মেয়র

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:১১

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত  খাল খনন কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডস্থ ওয়াইজার পাড়া হাজী ফকির মো. সওদাগরের বাড়ির সামনে সিটি মেয়র আলহাজ¦ আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন করেন।

প্রস্তাবিত ১১৭ ফুট চওড়া অধিগ্রহণযোগ্য জমিতে ৬৫ ফুট প্রশস্থ বিশিষ্ট ২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ১টি নতুন খাল খনন করা হবে যার দুইপাশে প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণ করে উভয় পাশে ২০ ফুট সড়ক নির্মাণ ও ৬ ফুট ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। মোট অধিগ্রহণ যোগ্য জমির পরিমান দাড়ায় ২৫.১৬৬২ একর।

উল্লেখ্য প্রস্তাবিত খালটি বহদ্দারহাট বারইপাড়া হাইজ্জারপুল থেকে শুরু করে যমুনা স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন শাহ আমানত সংযোগ সড়ক অতিক্রম করে নুরনগর হাউজিং হয়ে ওয়াইজের পাড়া মাজার হয়ে বলির হাট বলি মসজিদের উত্তর পাশ দিয়া কর্ণফুলী নদীতে পতিত হবে। এই নতুন খাল খননের জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫৬ কোটি ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১০৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। খাল খনন উপলক্ষে এক সুধিসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় কাউন্সিলর আলহাজ্ব হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্যানেল মেয়র জোবাইরা নার্গিস খান, কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির পক্ষে মো. ইউনুচ কোম্পানী, মো. ইলিয়াছ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, এ খালটি হবে নয়নাবিরাম একটি খাল। যা দেশের অন্য কোথাও নেই। খালটির দৈঘ্য হবে আনুমানিক ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার এবং প্রশস্থ ৬৫ফুট খালটির মাটি উত্তোলন ,সংস্কার ও নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থার সৃষ্ঠির লক্ষে খালের উভয় পাশে ২০ফুট করে দু’টি রাস্তা ও ওয়ার্কওয়ে  নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে।

নতুন খাল খনন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরী বিস্তৃর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং নগরীর জনগণের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে পূর্ব-পশ্চিম ষোলশহর, চান্দগাঁও, মোহরা, উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম বাকলিয়া ও চকবাজারে জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 
এবিএন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ