আজকের শিরোনাম :

রুমায় অবৈধভাবে চলছে গাছ কর্তনের মহোৎসব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১১:৫৬

বান্দরবানের রুমা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি চাই শৈহ্লা মারমার বিরুদ্ধে রুমা-বগালেক সড়কের ১১ মাইল শৈরাতং পাড়ার কাছে বন বিভাগের পলিরেঞ্জ এলাকার ৩৫৩ নম্বর কোলাদি মৌজার আওতাভুক্ত সরকারি অশ্রেণীভূক্ত বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক গাছ কাটার শ্রমিক দিয়ে দিনরাত অবৈধভাবে সেগুন কাঠসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে বেপরোয়াভাবে লুটপাট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

গত শুক্রবার সকালে জেলা সদর থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে রুমা উপজেলার বগালেক সড়কের ১১ মাইল শৈরাতং পাড়ার কাছে দুর্গম ৩৫৩ নম্বর কোলাদি মৌজার পলি রেঞ্জ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বান্দরবান জেলা শহরের কাঠ ব্যবসায়ী মো. হারুন, মো. নাছির, নুর মোহাম্মদ ও মনসুর সওদাগরের সহযোগিতায় রুমা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি চাই শৈহ্লা মারামা গংরা সরকারি বাগান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ কেটে দিনদুপুরে পাচার করে আসছে। আর তাদের সহযোগিতা করছে বন বিভাগ। 

পরিদর্শনকালে কাঠ শ্রমিক উক্য মারমা, সুইচা উ মারামা ও সানু মারমা বিষটি শিকার করে এইসব কাট চোরাইয়ের সঙ্গে জড়িত চাই শৈহ্লা মারামা বলে জানান। তবে বিষয়টি জানাজানির পরও বান্দরবান বন বিভাগরে কর্মকর্তারা বরাবরেই বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল। পরে পলি রেঞ্জর কর্মকর্তারা কামরুল হাসান লোভ দেখানো অভিযানের নামে ওই এলাকা থেকে ৩৩ টুকরো কাট জব্দ করেন।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে রুমা উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি চাই শৈহ্লা মারামা বিষয়টি শিকার করে বলেন, আমি কাঠগুলি টাকার বিনিময়ে কাটছি। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মেনেজ না করেকি এসব ব্যবসা করা যাই নাকি! আমারা পাহাড়ে এসব না করলে কি ভাবে চলবো। 
এদিকে, ইতিমধ্যেই রুমা উপজেলার সাঙ্গু নদীর রুমার চরের ঘাটে কাঠের চালির মাধ্যমে পানিতে অন্য কোন রেঞ্জের জোতপারমিটের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য প্রায় ১৫০০ ঘন ফুট অবৈধ কাঠ মজুদ করা হয়েছে। 

পরে জেলা শহর হয়ে বান্দরবান জেলার বাহিরে পাচারের উদ্দেশ্যে। ওই বন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে আরও কমপক্ষে সাড়ে ৫০০ ঘন ফুট অবৈধভাবে কর্তিত মূল্যবান কাঠ পাচারের অপেক্ষায় জঙ্গলে লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। 

এ বিষয়টি জানতে চাইলে মুঠোফোনে বান্দরবান বন বিভাগের রুমা পলি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর আমারা ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রথমে আমরা ১৮ টুকরো কাঠ জব্দ করেছি এর ২ দিন পরে আরো ১৫ টুকরো কাঠ জব্দ করেছি। তবে ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। 

চোরাকারবারিদের সঙ্গে বন বিভাগ জড়িত আছে এমন অভিযোগের ব্যাপারে রেঞ্জ অফিসার বলেন, চোরাকারবারিরা নিজেদের রক্ষা করতে বানিয়ে অনেক কথা বলতে পারে। আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো এবং ওই এলাকায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এবিএন/মোহাম্মদ আব্দুর রহিম/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ