আজকের শিরোনাম :

পাবনায় ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেন’ উদ্বোধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ২০:০০

রেলসেবা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং দেশের অর্থনৈতিক  তরান্বিত করতে পাবনা ও নাটোর জেলার মানুষের রেল পরিসেবা হাতের মুটোয় এনে দিতে উদ্বোধন করা হলো “ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেন”।

আজ রবিবার (২৬জানুয়ারী ) সকাল সাড়ে ১১টার সময় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন। পাবনা শহর থেকে রাজশাহী রুটে চলাচলকারি পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন এখন থেকে ঢালার চর এক্সপ্রেস নামে বর্ধিত রুটে রাজশাহী-ঢালার চরের মধ্যে চলাচল করবে। ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ঢালারচর রেল স্টেশনে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহাম্মেদ ফিরোজ কবির এম.পি, বেড়া উপজেলা নির্বহী অফিসার, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগ, রেল মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এক হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মাঝগ্রাম থেকে শুরু করে বেড়া উপজেলার ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার নতুন রেলপথে বিভিন্ন বয়সী মানুষ  উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

রেলমন্ত্রী এ্যাড. নুরুল ইসলাম সুজনের নেতৃত্বে পশ্চিমাঞ্চল রেলের পক্ষ থেকে জি,এম মিহির কান্তি গুহ, প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মোঃ মাসুদুর রহমান, প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম, পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আসাদুল হক ও প্রকল্পের পিডি আব্দুর রহিমসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সহায়তায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পর্ন করা হয়েছিল। জানা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালিন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে (১৯৭২-৭৩ সালে) ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে নগরবাড়ি পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ হাতে নেয়া হয়।

এ উদ্যেশ্যে মাঝগ্রাম থেকে পাবনা পর্যন্ত জমি অধিগ্রহনের কাজ করা হয় এবং আংশিক জমি অধিগ্রহন সম্পন্ন করা হয়। ১৯৭৫ সালে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারনে প্রকল্পটি পরিত্যাক্ত ঘোষিত হয় এবং ১৯৭৯ সালে প্রকল্পটি স্থগিত ঘোষনা করা হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৮ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনার আংশ হিসেবে প্রকল্পটির কাজপুনরায় শুরু করা হয়। ইতি মধ্যে মাঝগ্রাম- ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার রেলপথে ৭টি ষ্টেশন, ৯টি মেজর ব্রীজ নির্মান, মাইনর ব্রীজ ৮০টি ও লেভেল ক্রসিং গেট ৬০টি নির্মান করা হয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন,সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪৫ সাল নাগাদ রেলের উন্নয়ন দিক নির্দেশনা মুলক যে মাষ্টার প্লান করা হয়েছে সেই দিক নির্দেশনার আলোকে ঈশ্বরদী- ঢালার চর ৭৮ কিলোমিটার রেলপথ পদ্মা নদীর উপর প্রস্তাবিত নতুন রেল কাম রোড ব্রীজ দিয়ে রাজবাড়ি রেল লাইনের সাথে সংযুক্ত হবে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, আপাতত দুইটি ট্রেন চলাচল করবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন মতে আরও ট্রেন বাড়ানো হবে। রেলের উন্নয়নের দিক নির্দেশনার একটি পার্ট হলো মাঝগ্রাম- ঢারারচর প্রকল্প বাস্তবায়ন। ধাপে ধাপে সকল প্রকল্প বাস্তবায়নের করা হবে। বর্তমান ”ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেন” টি রাজশাহী- ঢালারচর রুটে চলাচল করবে।
 

এবিএন/নির্মল সরকার/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ