আজকের শিরোনাম :

ভোলায় বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:৫৬

“ছেলে ২১ ও মেয়ে ১৮ বছর আগে বিয়ে না কারো” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ভোলায় বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে স্কুল ভিত্তিক সচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভোলা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে  এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে এবং ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন।

ভোলা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশের ফাইন্ডার আদিল হোসেন তপু, মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কেন্দ্রের সভাপতি সাংবাদিক বেলাল হোসেন, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম শাহরিয়ার জিলন, ভোলা নাগরিক অধিকার ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মীর নুরে আলম ফরহাদ, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নির্বাহী সদস্য ইমরান হোসেন ইমু। 

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এম মইনুল এহসান।

বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির প্রচার সম্পাদক গোপাল চন্দ্র দের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কেন্দ্রের যুগ্ম সম্পাদক মো. জাকির হোসেন পারভেজ, নির্বাহী সদস্য মো. আলী, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নির্বাহী সদস্য অংকুর রায়, দপ্তর সম্পাদক ইমতিয়াজুর রহমান, তথ্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, নির্বাহী সদস্য মো. তানিম হাওলাদার প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। বাল্যবিবাহ আমাদের দেশের দীর্ঘদিনের একটি সামাজিক অভিশাপ। বাল্যবিবাহের অভিশাপে একজন নারীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বিকশিত হতে দেয় না। একটি সুস্থ জাতি পেতে হলে দরকার একজন শিক্ষিত মা। শিক্ষিত মায়ের দ্বারাই সম্ভব একটি সুস্থ জাতি এবং একটি সুস্থ সুন্দর প্রজন্ম গড়ে তোলা। কিন্তু বাল্যবিবাহের কারণে আমাদের এই সমাজের বেশির ভাগ মেয়ে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। আগামী প্রজন্মও সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠা ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতেও বাল্যবিবাহ বড় একটি বাধা। আমাদের জীবনে আধুনিকতা ও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও বাল্যবিবাহের প্রবণতা কমেনি। বাল্যবিবাহ বন্ধে শুধু আইন নয়, দরকার জনসচেতনতা বৃদ্ধি। বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পারলে বাল্যবিয়েমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

বক্তারা আরও বলেন, একে প্রতিরোধ করতে হলে সবার আগে কিশোর-কিশোরী ও পরিবারকে সচেতন হতে হবে। শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই বাল্যবিয়েকে রোধ করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী যার যার জায়গা থেকে যদি বাল্যবিবাহ বন্ধে এগিয়ে আসে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তাহলে সমাজকে বাল্যবিবাহমুক্ত করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে ছেলেদের ২১ ও মেয়েদের ১৮ বছর আগে বিয়ে না করার আহবান জানিয়ে শপথ করানো হয়।

উল্লেখ্য, বাল্যবিয়ে ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই সংগঠনের মাধ্যমে ভোলায় শতাধিক বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। যেসব পরিবার ছেলে-মেয়েদেরকে পড়ালেখা করাতে পাড়ছে না তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে। 

এছাড়াও, লিফলেট, ক্যাম্পেইন, উঠান বৈঠক, স্টিকার বিতরণ, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এবিএন/আদিল হোসেন/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ