আজকের শিরোনাম :

শ্রীমঙ্গলে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৭ | আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৯

গত ২৪ ঘন্টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা আরো নেমে ৬ ডিগ্রিতে এসেছে। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আজ শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী জাহেদুল ইসলাম মাসুম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, গতকাল বুধবার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার রেকর্ড হয় ৭.৬ ডিগ্রি।

কনকনে হাড় কাঁপানো শীত আর মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে ২০৫টি গ্রাম, ১টি পৌরসভা, ৯টি ইউনিয়ন ও ৪৪টি চা-বাগান নিয়ে গঠিত শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাধারণ জীবনযাত্রা প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। 

দেশে শীতের শহর হিসেবে পরিচিত, চায়ের রাজধানী ও দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে শ্রীমঙ্গল। হালকা কুয়াশা, মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ঠাণ্ডা বাতাসে শীত বেশি অনুভূত হওয়ায় ভোরবেলা নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের সাধারণ জীবনযাত্রা।

বিশেষ করে সকালে স্কুলগামী শিশুদের শীতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কষ্ট বেড়েছে অফিসগামী ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের।

আবহাওয়া সহকারী জাহেদুল ইসলাম মাসুম জানান, হালকা কুয়াশা, আকাশ পরিষ্কার থাকায় তাপমাত্রা নেমেছে। তিনি জানান, সূর্য উঠার সাথে সাথে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২.৮ ডিগ্রি এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ৪ হাজার ৬৮০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তাছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১ হাজার ১১১টি কম্বল বরাদ্দ এসেছে। যা ইতোমধ্যে উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরন করা  হয়েছে। 

এছাড়াও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে ২৭৭ পিস কম্বল ও শিশুদের জন্য ৩০০ পিস শীতবস্ত্র বরাদ্দ এসেছে। এগুলোও ইতোমধ্যে সারা উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। 

এদিকে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন  উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করছে বলে জানা গেছে।

এবিএন/আতাউর রহমান/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ