আজকের শিরোনাম :

জলঢাকায় তিস্তা নদীতে ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগে হাজারও মানুষ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:০৪

নীলফামারীর জলঢাকায় বুড়িতিস্তা নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগের শিকার হাজারও মানুষ। উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নেকবক্ত মন্থনা ঘাটের বুড়ি তিস্তার নদীর ওপর  সেতু না থাকায় যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগের শিকার হন ডাউয়াবাড়ী চরভরট এলাকার ২০টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ।

এ এলাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ও হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের শেষ সীমানা। উপজলোর ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজার সংলগ্ন এলাকার মন্থনা ঘাটের পাড়ে বুড়িতিস্তা নদীতে একটি সেতুর অভাবে ওই দুই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নাই। হয়নি তাদের ভাগ্য পরিবর্তন। ভাগ্য পরিবর্তন শুধু কাগজে কলমে। 

স্থায়ী সেতু না থাকায় ওই এলাকার মানুষ বর্ষার সময়ে নৌকা,আর শুষ্ক মৌসুমে কাঠ বা বাঁশের সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার হন টোল দিয়ে। 
তাছাড়া এ দুই এলাকার মানুষ নেকবক্ত ও জলঢাকার সাথে যোগাযোগ বেশি। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নদী সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ভাংগা গড়ার মাধ্যমে চরে গড়ে উঠেছে অনেক জনপদ। এ নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এসব জনপদসহ আশপাশের অসংখ্য মানুষ ও কৃষকেরা দুই পাড়ে শত শত হেক্টর জমিতে ধান, পাট, গম, ভুট্টা, আখসহ নানান শাকসবজি ও ফসল ফলান। 
 
ডাউয়াবাড়ী চরভরট এলাকার লোকজন তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য উৎপাদিত পণ্য নিকটস্থ জলঢাকা, নেকবক্ত ও হাতিবান্ধার ডাউয়াবাড়ী বাজারে আনা নেওয়া করে কষ্ঠ করে বর্ষায় নৌকায় আর শুষ্ক মৌষুমে টোল দিয়ে বাশের সেতু দিয়ে মাথায় ও ঘারে করে পার হতে হয় তদের। এক কথায় নিভে যাচ্ছে বিপুল উন্নয়নের সম্ভাবনার প্রাণের স্পন্দন জলঢাকার নেকবক্ত ও হাতিবান্ধার ডাউয়াবাড়ী এলাকায় তিস্তা ও বুড়িতিস্তা নদীর ওপর দুটি ব্রিজের অভাবে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ স্বাধীনতার দীর্ঘদিনেও তাদের প্রাণের দাবি একটি সেতুর নির্মাণের ওয়াদা রাখেন নি কেউ। ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতুর জন্য এমপি মন্ত্রীদের কাছে অনেক ধরনা দিচ্ছেন তারা কথা দেন কিন্তু কথা রাখেন না। তাই দুর্ভোগ এরাতে বুড়িতিস্তা নদীর ওপর এই সেতু নির্মাণ এখন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। 

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানান, এই ব্রিজের নির্মাণ সংক্রান্ত  সকল বিষয় একনেকে পাশ হওয়ার পর তা কাজ শুরুর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ফাইল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আছে ওনাদের চূড়ান্ত  অনুমোদোন পাওয়ার পরে কাজ শরু করবে ঠিকাদার।

এবিএন/হাসানুজ্জামান/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ