আজকের শিরোনাম :

নাভারনে নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে চলছে মাহিন্দ্রা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৫৯

হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে হাইওয়ে পুলিশের সামনেই চলছে মাহিন্দ্রা নামক ইঞ্জিনচালিত ৩ চাকার গাড়ি। 

চালকরা বলছেন, যশোর-বেনাপোল সড়কের নাভারন হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা গাড়ি চালাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে এ গাড়িতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রধান সড়কে যাত্রীরা।

নাভারন হাইওয়ে পুলিশ নাভারন ঝিকরগাছা, বেনাপোল ও বাগআঁচড়া পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়ালেও বন্ধ হচ্ছে না মাহিন্দ্রা চলাচল। ফলে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সম্প্রতি শার্শার শামলাগাছি, বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকায় মাহিন্দ্রার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে কয়েকজন। 

গতকাল সোমবার সরেজমিনে বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের সামনে প্রধান সড়কে দেখা গেছে এখান থেকে নাভারন এর উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছে এসব গাড়িগুলো। এখানে প্রধান সড়কের ওপর গড়ে তুলেছে তাদের গাড়ির পার্কিং পার্ক। আবার নাভারন মোড়ে ও বাড়আঁচড়া প্রধান সড়কে দেখা গেছে দুইট গাড়ির পার্কিং এর অস্থায়ী টার্মিনাল। বেনাপোল নাভারন ও বাগআঁচড়া এলাকায় রীতিমত খাতা কলম নিয়ে এসব গাড়ির সিরয়াল দিয়ে যাত্রী উঠাতে দেখা গেছে। ওইসব গাড়ির চালকদের সমন্বয়ে রাখা হয়েছে একজন সিরিয়াল মেইন্টেন করা লোক। ভোর বেলা থেকে চলাচল শুরু হয় এসব গাড়ি। আর শেষ হয় মধ্যে রাতে।

বেনাপোল বাহাদুরপুর রোডের পাশে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ইজিবাইকস্ট্যান্ডের চালক শাহিন ও জামাল হোসেন বলেন, আগে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ অনেক কম টাকা নিত। এখন প্রতি মাসিক স্লিপে ৪ শত করে টাকা নিচ্ছে। 

দিঘিরপাড় গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, আগে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ বেনাপোল ও নাভারনে ৫ থেকে ৬ শত স্লিপ দিত। এখন তা কমিয়ে একজন চেয়ারম্যানের মাধ্যেমে দেড় থেকে ২ শত স্লিপ দেয়। যার জন্য টাকার পরিমাণ বেশি হলেও ভাড়া বাড়েনি। এতে চালকদের অনেক কষ্ট হয়। অপরদিকে মাহিন্দ্রার চালকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের গাড়ি রোডে পুলিশকে ম্যানেজ করে চালাতে হয়। আপনারা লেখা লেখি করলে আমাদের অসুবিধা হবে। 

এ ব্যাপারে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ এর এসআই টিটুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চালকরা যে ম্যানেজ করার কথা বলছে এটা মিথ্যা। আমরা হাইওয়েতে মাহিন্দ্রা থ্রি-হুইলার গাড়ি আটক করছি। এবং গাড়িগুলি নাভারন হাইওয়েতে আছে। নাভারন হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জহিরুল মিয়াকে ০১৭৬৯৬৯০৪৬৭ মোবাইলে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

তবে এলাকার সাধারণ সচেতন মহলের অভিযোগ এসব গাড়ি ও ইজিবাইক প্রধান সড়ক থেকে উঠিয়ে দেওয়া উচিত। প্রধান সড়কগুলি সবসময় ব্যস্ত থাকায় এখানে এসব ছোট খাট গাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকের প্রান হানিও হয়েছে।

এবিএন/মো. আয়ুব হোসেন/গালিব/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ