আজকের শিরোনাম :

সিরাজগঞ্জে পুনঃখনন কাজে হারানো যৌবন ফিরে পাচ্ছে সেই বিলসূর্য্য নদী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:৩৪

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সেই বিলসূর্য্য নদী পুনঃখনন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড এই প্রকল্প কাজ শুরু করেছে। এতে এ নদীর হারানো যৌবন ফিরে আসায় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়নে নির্বাচিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চলতি মাসের প্রথম থেকে এই নদীর পূণঃ খননের কাজ শুরু করা হয়। এ উপজেলার এনায়েতপুর হেলিপ্যাড থেকে রতন দিয়ার ত্রিমোহনী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার নদী বেকু মেশিন দিয়ে পুনঃ খননের কাজ চলছে। তবে সিডিউল ভিত্তিতে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা নিয়ে এলাকায় গুঞ্জনও রয়েছে।

এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি থাকবে এবং মুক্ত জলাশয়ে দেশী মাছের অভয়াশ্রম গড়ে উঠবে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এ নদীর পূনঃ খনন কাজ শেষ হলে বিশেষ করে কৃষি আবাদি জমিতে পানি সেচ সুবিধা বাড়বে। এতে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে বিভিন্ন ফসলের আবাদে সেচ সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে। এদিকে নদীটি উপজেলা সদরের পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ফুলজোড় নদীর শাখা বিলসুর্য্য নদী এক সময় চলমান ছিল। পানি থাকতো বছরের সব সময়। নদীতে মিলতো দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছ।

স্থানীয়দের আনন্দের এ নদী কচুয়া নদী হিসেবে পরিচিত ছিল। এ নদী উপজেলা সদরের সাথে পশ্চিমাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নের মুল নদী পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল সে সময়। ওই নদী এলাকায় ইউনিয়ন গুলো হলো, বড়পাঙ্গাসী, কয়ড়া, মোহনপুর, উধুনিয়া ও বাঙ্গালা। কালের কবলে পড়ে নদীটি তলদেশ ভরাটে গভীরতা কমে যায়। তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে এই নদীটি এমন অবস্থা ছিল। এ নদীর খনন কাজ শেষ হলে নদীটির হারানো যৌবন ফিরে পাবে এবং এলাকায় পূর্বের পরিচিতি ফিরে পাবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন অনিয়ম দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ার সুযোগ নেই। আগামী জুন মাসের মধ্যে ওই নদীর পুনঃ খননের কাজ শেষ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


এবিএন/এস.এম তফিজ উদ্দিন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ