পোরশায় খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:০১
প্রকৃতিতে চলছে শীতের মৌসুম। সকালে কুয়াশার চাদরে আটকা পড়ে উঁকি মারে সূর্য মামা। গ্রামের পুকুরগুলো থেকে উঠতে থাকে অবিরত সাদা ধোঁয়া। কুয়াশার চাদর সরে গেলেই প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে মিষ্টি রোদের ছোঁয়া। আর ঠিক এই সময়ে নওগাঁর পোরশা উপজেলার সকল গ্রামের গাছিরা খেঁজুরের রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শীতের সকালে গ্লাস ভরে খেঁজুরের রস পান করা যেন লোভনীয় ব্যাপার। শীতের এই মৌসুমে গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে খেঁজুরের পিঠা, পুলি ও পায়েশ তৈরীর ধুম পড়ে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খেজুর গাছের মালিকদের সাথে চুক্তি করে গাছ নিয়েছেন রস, লালি ও গুড় ব্যবসায়ীরা। অনেকেই আবার নিজের গাছ থেকে নিজেই রস আহরণ করছেন।
ইতোমধ্যে এসব খেঁজুর গাছ থেকে রস আহরণের জন্য প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন তারা। যদিও আগের মত সারি সারি খেঁজুর গাছ আর দেখা যায় না। এরপরেও যে গাছগুলো এখনও বর্তমান রয়েছে, গাছিরা সেই গাছগুলো প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন।
গাছিরা হাতে দা নিয়ে ও কোমরে দড়ি বেধে খেঁজুর গাছে উঠে নিপুণ হাতে গাছের ছাল তুলে নলি বসানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখন থেকে শুরু হবে রস সংগ্রহের প্রতিযোগিতা। এ এলাকায় পৌষ মাঘ ও ফাল্গুন এই তিনমাস খেঁজুর গাছ থেকে রস আহরণ আর গুড় ও লালি তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে হয় গাছিদের। আহরণকৃত রস নিজ বাড়িতে বা খামারে আগুনে জাল দিয়ে তৈরি করা হয় গুড় ও লালি। সেগুলো বিক্রি করা হয় বাজারে। উচ্চ মূল্য পেয়ে লাভবান হন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহফুজ আলম জানান, আগের তুলনায় এখন খেজুর গাছ নেই পোরশায়, তবে এখনও যে পরিমাণে গাছ রয়েছে এগুলো ঠিকমত রক্ষণাবেক্ষণ আর পরিচর্যা করলে অনেক রস, লালি আর গুড় তৈরি করা সম্ভব। এবং এগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি করাও সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
এবিএন/ডিএম রাশেদ/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ