সুনামগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি সংগ্রহে ধসে যাচ্ছে ফসলি জমি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ১২:১৬
সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের দামোধরতপী আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য বড় বড় গর্ত করে এস্কোভেটর (মাটি কাটার মেশিন) দিয়ে জানের বন হাওর ও বিতরকুল হাওরের জমি কেটে মাটি আনার কারণে আশেপাশে থাকা সাধারণ মানুষের ফসলি জমি ধসে যাচ্ছে। বড় গর্ত করে মাটি আনার কারণে সাধারণ মানুষের জমির পাড় ধসে পড়েছে।
ফলে হাওরের অন্যান্য জমির সব পানি এই গর্তের মধ্যে পড়ার কারণে পানি শূন্য হয়ে পড়েছে পুরো হাওরের জমি। সাধারণ মানুষের মুখে লেগে আছে কালো ছায়া, কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন অনেকেই। অনেক মিনতি করেও থামছে না মাটি কাটা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে অভিযোগ করলে তিনি তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করা নির্দেশ দেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় গর্ত করে মাটি আনার কারণে আশাপাশের জমির পাড় ধসে পড়েছে। প্রায় ৩৬ কেদার জমি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ফসলি জমিতে পানি না থাকায় হাহাকার করছেন কৃষকরা, ফলে ফসল ও জমিজমার ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। অনেকে আবার শেষ সম্বল জমি ধসে পড়া দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে দামোধরতপী আশ্রয় প্রকল্পের জন্য ১’শত ৫ টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উক্ত প্রকল্পের সভাপতি (স্থানীয় মেম্বার) পূর্বপাগলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজির উদ্দিন। ইতিমধ্যেই তিনি প্রথম কিস্তিতে মাটি ভরাটের জন্য ২৬ টন বরাদ্দ তুলে নিয়েছেন।
প্রকল্প অফিস জানায়, আমরা প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে করতে বলেছি। তার মানে এই নয় সাধারণ মানুষের জমির ক্ষতি করে কাজ করবে।
ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক মোস্তাক মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি গরীব মানুষ এই জমিজমাই আমার স¤পদ। যদি এই জমিগুলোর ক্ষতি হয় তাহলে আমি নিস্ব হয়ে যাবো। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। আরেক ভুক্তভোগী আক্সগুর মিয়া বলেন, আমাদের জমি কেটে নেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি আজির উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি জমির মালিকদের কাছ থেকে বলে মাটি আনছি, আর যাদের জমিজমা ক্ষতি হবে তাদের আড় দিয়ে মাটি ভরাট করে দেব।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী এ প্রতিবেদককে বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে মীমাংসা করে দিয়েছি, মাটি কাটার শেষের দিকে এই জায়গা ভরাট করে দেওয়া হবে।
এবিএন/অরুন চক্রবর্তী/গালিব/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ