সাপাহারে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়ছেন কৃষকরা

সারা দেশে বাংলা ও বাঙালির প্রতিটি পরিবারে রন্ধন শিল্পে মসলাদির মধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম মসলা। ইতোমধ্যেই সেই মসলার পেঁয়াজ তার ঝাঁজ জানান দিয়েছে সবার কাছে। প্রতিটি পরিবারে রন্ধন প্রক্রিয়ায় কমবেশি পেঁয়াজের ব্যবহার হয়েই থাকে। 

তাই এ বছরে পেঁয়াজ তার আপন ঝাঁজে ব্যস্ত থাকায় অনেক পরিবারের গৃহিণীরা বিনা পেঁয়াজে তাদের রন্ধন প্রক্রিয়া চালিয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরে। অদূর ভবিষ্যতে এ রকম পরিস্থিতি এড়াতে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলার কৃষক কিষাণীরা বর্তমানে সর্বস্ব দিয়ে পেঁয়াজ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন।
 
তারই ব্যস্ত চিত্র নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলায় দেখা গেছে। এ উপজেলার কৃষক-কিষাণীদের কথা ভবিষ্যতে পেঁয়াজ বাজারজাত করতে না পারলেও অন্তত সারা বছর ধরে খাবার পেঁয়াজটুকু নিজকে আবাদ করতে হবে। তাই তারা নিজের জমি হোক আর অন্যের জমি হোক সকলেই কমবেশি পেঁয়াজের চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে। 

উপজেলার পিছলডাঙ্গ গ্রামের আব্দুল হাকিম, মদনশিং গ্রামের মফিজ উদ্দীন, কাশিতাড়ার আনারুল, ইসলামপুর গ্রামের ফিরুজ কবির, আজগর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, তারা প্রত্যেকেই দেড় থেকে দুবিঘা পরিমাণ করে পেঁয়াজের চাষাবাদ করেছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার মুজিবুর রহমান জানান, এবারে উপজেলায় পেঁয়াজ থেকে পিয়াজ চাষাবাদ হয়েছে ৫৫ হেক্টর জমিতে যা বর্তমানে ক্ষেত থেকে তোলার প্রক্রিয়া চলছে। 

এছাড়া এ বছর নতুন আমবাগানে সাথী ফসল হিসেবে ও অন্যন্য জমিসহ ৪’শ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই তার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপন কার্য শেষ হয়েছে। 

এ বছরের পেঁয়াজের চাষাবাদ অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার রহমান সেলিম জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে এ বছর সাপাহারে কৃষক কুল কোমর বেঁধে পেঁয়াজের চাষাবাদে মনোনিবেশন করেছেন বলে উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণ জানিয়েছেন।

এবিএন/নয়ন বাবু/গালিব/জসিম