মধুখালীতে এনজিওর নারী পরিচালক খুন

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় লিপি আক্তার (৩৫) নামে এক এনজিও ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুন হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া ও মুন্সিপাড়া গ্রামের মাঝামাঝি এলাকার একটি আখ ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত লিপি আক্তার ‘চন্দনা সঞ্চয় ও ঋণ দান সমবায় সমিতি’ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাগাট মুন্সিপাড়া গ্রামের মির্জা শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।

এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগাট বাজার এলাকার এনজিও থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার উদ্দেশে বের হন লিপি। কিন্তু সারা রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। এ দিকে, গভীর রাত হলেও লিপি বাড়িতে না ফেরায় তার স্বামী মির্জা শহিদুল ইসলাম স্ত্রীর মুঠোফোনে ফোন দেন। এ সময় তিনি লিপির দুটি মুঠোফোন নম্বরই বন্ধ পান। অবশেষে শুক্রবার সকালে আখ ক্ষেত থেকে লিপির লাশ উদ্ধার করে  পুলিশ।

এ দিকে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে লিপিকে নিয়মিত বহনকারী ভ্যানচালক সৌকিব (১৬) নিখোঁজ রয়েছেন।

বাগাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান খান জানান, হত্যার উদ্দেশ্য ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছে না। আর পারিবারিক কলহের কথাও শোনা যায়নি। তবে যেহেতু তিনি এনজিওতে কর্মরত ছিলেন তাই ধারণা করা হচ্ছে, রাতে ফেরার সময় তার কাছে থাকা টাকা ছিনতাই করতেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের মাথা ও কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে লিপির লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মধুখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল আলম জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে নিখোঁজ ভ্যানচালকের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি