আজকের শিরোনাম :

আক্কেলপুরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ১৩ দিন পর থানায় মামলা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৪৯

দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই চোখে মুখে ঘুষি মেরে জখম করা হয়েছে। এরপর মেয়েটির চোখে রক্ত জমেছে। ঘটনার ১৩ দিন পার হলেও আজও চোখ সারেনি। 

ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সোনামুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর ওপর। 

থানায় দায়ের করা এজাহার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারের মেয়েটি সোনামুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। মেয়েটি সকালে বিদ্যালয়ে কোচিং করতে আসে। গত ১৮ ডিসেম্বর সকালে নাজিম উদ্দিন ওরফে বাবলু ফকির নদীর পারে মেয়েটিকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে। সে সোনামুখী গ্রামের ফকিরপাড়ার মৃত খোকা ফকিরের ছেলে। মেয়েটি চিৎকার করলে তার চোখে-মুখে কিল-ঘুষি মারে। চোখ গুরুতর জখম হয়। মেয়েটি কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এসে স্থানীয় লোকজন, শিক্ষক ও সহপাঠিদেরকে জানায়। 

এ নিয়ে বিদ্যালয়ে বৈঠক হয়। অমীমাংসিতভাবেই বৈঠকটি শেষ হয়। মেয়েটি ও তার অভিভাবকরা আইনে আশ্রয় নিতে চাইলে বারণ করেন মাতবররা। এ বিষয়টি নিয়ে আবারও গত ৩০ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে এক বৈঠক হয়। অভিযুক্ত নাজিম উদ্দিনকে উপস্থিত করা হয়। একপর্যায়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম অভিযুক্ত ভাতিজাকে বৈঠক থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। 

পরে উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আরা ও পৌরসভার নারী কাউন্সিলর বন্দনা রানী মেয়েটিকে সঙ্গে করে থানায় নিয়ে আসেন। ওসিকে বিস্তারিত জানান। মেয়েটি নাজিম ও সিরাজুলকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মেয়েটি বলে ‘আমি ঐদিন সকালে বিদ্যালয়ে কোচিং করতে যাওয়ার সময় নাজিম উদ্দিন আমাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আমার চোখে-মুখে প্রচন্ড আঘাত করে। এখন আমার দুই চোখ লাল হয়ে আছে। প্রচন্ড ব্যথা করে।

মেয়ের বাবা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম ঘটনাটি মীমাংসা করতে বলেছিলেন। এ কারণে মামলা করতে বিলস্ব হয়। 

প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, আমার জানা মতে বিদ্যালয়ে এই ঘটনা নিয়ে কোনো বৈঠক হয়নি।

আক্কেলপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আবু ওবায়েদ বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

এবিএন/আতিউর রাব্বী তিয়াস/গালিব/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ