ভালুকায় ৪ বছরের শিশু ধষর্ণের শিকার

ময়মনসিংহের ভালুকায় ইউনানী কবিরাজ কর্তৃক চার বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে, উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নে ১ নংওয়ার্ড পাড়াগাঁও বড়চালা গ্রামে সালসা মার্কেটের পাশে খালেক সালসার বাড়িতে ভাড়াটিয়া জনাব আলীর মেয়ে (৪) স্থানীয় প্রভাবশালী ইউনানী চিৎকিসক খালেক ( ৫০) সালসা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষণের অভিযোগে এনে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত (২৬ ডিসেম্বর) শিশুটি অন্যান্য শিশুদের সাথে রানার ফ্যাক্টরীর সামনে কলা বাগান সংগলœ খোলা জায়গায় খেলা করছিলো।এ সময় সালসা খালেক অসৎ উদ্দেশ্যে শিশুটিকে মজা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে পাশের কলার বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটির ডাক-চিৎকারে মেয়েটির বড় ভাই জয় হোসেন(১২) এগিয়ে এসে তার বোনকে রক্ষা করে।

পরবর্তীতে ধর্ষক খালেক মেয়েটির বড় ভাইকে শাসায় ও ভয় ভীতি দেখায় যাতে কাউকে এ ঘটনা না বলে। এর পর আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে ধর্ষক খালেক সালসা পালাইয়া যায়।এতে ছোট মেয়েটির গোপন অঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরন হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধর্ষণের শিকার শিশু মেয়েটি শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৭ তারিখে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন।

 মেয়েটির বাবা জনাব আলী জানান, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর আমরা বাড়াটিয়া হওয়ায় খালেক সালসার প্রতিবেশী রতন ও ধর্ষণকারীরা হুমকি দিচ্ছে যাতে বিষয়টা কাউকে না জানানো হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আপ্রান চেষ্টা করছে এবং তাদের ভয়ে ওই এলাকার কেউ বিষয়টি জানা সত্বেও মুখ খুলছে না।

 ধর্ষীতার বাবা ঘটনার তিনদিন পর গতকাল (২৮ ডিসেম্বর) শনিবার ধর্ষণের বিষয়টি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাঈন উদ্দিনকে জানালে বিষয়টি তদন্তে পুলিশকে নির্দেশ দেন।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মাঈন উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে আজ রবিবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি  অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিকে আটক করার জন্য অভিযান অব্যহত আছে ধর্ষক খালেক সালসাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।

এবিএন/জাহিদুল ইসলাম/জসিম/তোহা