রুমায় ভিজিডি চাল বিতরণে অবহেলায় বঞ্চিত পাহাড়বাসী

বান্দরবানে রুমা উপজেলার ২নং সদর ইউনিয়নে (২০১৯-২০২০) অর্থ বছরের ভিজিডি চাল বিতরণে সচিব বুদ্ধিসত্ত বড়ুয়া সরকারে নিজ দায়িত্বে অবহেলা করা বঞ্চিত দুর্গম এলাকার পাড়ারবাসীরা। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ভিজিডি চাল বিতরণের কথা গ্রামবাসীদের জানানো হলেও তিনি সরকারি চাকুরি দায়িত্ব পালন না করে চেয়ারম্যান এর কক্ষে ছুটি আবেদনপত্র রেখে চলে যান ব্যক্তিগত কাজে। এতে বঞ্চিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কার্ডধারী দুস্থ মহিলা ভুক্তভোগীর ডলুঝিড়ি তংগি পাড়া, নাইতং পাড়া, রিঝুক পাড়া ও সামাখাল পাড়া ভুক্তভোগীগণ। 

বিতরণের কাজে বিকল্প থাকলেও সদর চেয়ারম্যান কয়েকমাস যাবত শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তাই ভিজিডি চাল বিতরণের বিষয়ে তিনি দায়িত্ব নিতে পারছেন না। 

এ বিষয়ে ২নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈবং মারমা (শৈমং) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সচিব আমাকে না জানিয়ে আমার অফিস কক্ষে ছুটিপত্র রেখে গিয়েছে। সরকারি আইন বিধিমালা অনুসারে ছুটি নিতে চাইলে প্রথমে আমাকে জানাতে হবে, পরে আমি গ্রহণ করলে তবে ছুটি আবেদনপত্র রেখে ছুটি ভোগ করা যাবে বলে এমনতাই জানিয়েছেন। 

তিনি আরো জানান, আমাকে (চেয়ারম্যান) বিভিন্ন কাজে পরোয়া না করে জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন, জিভিজি ও ভিজিএফ চাল বিতরণ কাজেও টাকা নিয়েছে বলে এমন প্রমাণও রয়েছে। 

দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজকে (বৃহস্পতিবার) ভিজিডি চাল বিতরণ করার কথা ছিল ঠিকই কিন্তু আমার ব্যক্তিগত কাজ থাকার ছুটি আবেদনপত্র চেয়ারম্যান অফিস কক্ষে রেখে চলে এসেছি। 

আগামী রবিবারে চলে আসলে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দৈনিক আমার সংবাদ প্রত্রিকার রুমা প্রতিনিধি কাছে।

ভোক্তাভোগীরা জানান, আমরা তো দিন মঞ্জুরী কাজ করে দিনে যা অর্থ আয় করে তা নিয়ে সংসার চালায়। গ্রাম থেকে বাজারে আসতে নেই কোন যানবাহন চলাচলে সুযোগ। তাই আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে আসতে গেলে বাজার দিন (সোমবার ও বৃহস্পতিবার) ছাড়া নৌপথ বা গাড়ি দিয়ে যখন তখন আসা সম্ভব নয়, শুধু তা নয় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও খুবই অসচ্ছলতা রয়েছে। 

এবিএন/চনুমং মারমা/গালিব/জসিম