সোনাগাজীতে ধর্ষকককে পুলিশে সোপর্দ করলেন প্যানেল চেয়ারম্যান

সোনাগাজীতে দ্বিতীয় শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা মিমাংসা করার সময় শালিসি বৈঠক থেকে ধর্ষককে ধরে গতকাল সোমাবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশে সোপর্দ করেছে উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন।  এ ঘটনায় শিশুটির মা সাজু আক্তার বাদি হয়ে ধর্ষকের নামে রাতেই সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ধর্ষক আরমান হোসেন(১৭)মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের আক্কেলপুর গ্রামের আবুল খায়ের কোম্পানি বাড়ির মোশারফ হোসেন লিটনের ছেলে।

প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ধর্ষনের শিকার শিশুটি স্থানীয় আক্কেলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী। গত শনিবার দুপুরে একই বাড়ির আরমান হোসেন শিশুটিকে ফুসলিয়ে তাদের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। আরমানের পরিবারের সদস্যরা কাউকে না জানাতে শিশুটির পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করলে তারা ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখায় আমরা ঘটনাটি জানতে পারিনি। শনিবার রাতে ধর্ষণের ঘটনাটি মিমাংসা করার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েক ব্যাক্তি শালিসি বৈঠকের আযোজন করেন। গ্রাম পুলিশ রুবেলের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গেলে শালিসি বৈঠক পন্ড হয়ে যায় এবং  ধর্ষক ধরতে সক্ষম হই। পরে মডেল থানাকে অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

শিশুটির মা সাজু আক্তার বলেন, শনিবার দুপুরে বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করার সময় আরমান আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। পরে অনেক খোজাখুঁজি করেও আমার মেয়েকে না পেয়ে আমি আরমানদের ঘরে গিয়ে দেখি সে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করছে। আমি চিৎকার শুরু করলে সে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। জ্ঞান ফিরে দেখি আমার মেয়ের যৌনাঙ্গ হতে রক্ত ঝরছে। পরে আমার স্বামী চিকিৎসার জন্য আমাদের মেয়েকে সোনাগাজী হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর আগেও আরমান আমার মেয়েকে কয়েকবার যৌন হয়রানী করে কিন্তু তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করিনি। এবারও তারা আপোশ মিমাংসার কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী আধুনিক সদ হাসপাতালে ভিকটিম শিশুর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শিশুটি ফেনীর সিনিয়ির জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে। অভিযুক্ত ধর্ষক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করার পর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এবিএন/আবুল হোসেন রিপন/জসিম/তোহা